ওয়েব ডেস্ক : মেডিক্যালে শিশুচুরি কাণ্ডে পুলিসের নজরে সদ্যোজাতের পরিবারও। গোটা ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে, সন্দেহ নগরপালের। চিন্ময়ী কী করে মেডিক্যাল কলেজে ঢুকল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। শিশুচুরিতে ধৃত চিন্ময়ী ও প্রশান্তের ১০দিন পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাল্টা প্রতিবেশীদের দিকে আঙুল তুলছেন বেজ দম্পতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শিশু চুরি। তাও খোদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে। তোলপাড় রাজ্য। রাতেই গ্রেফতার হয় চিন্ময়ী বেজ। প্রথমে সন্তানকে নিজের বলে দাবি করলেও পরে পুলিসি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে। স্বীকার করে নেয় এ সন্তান তার নয়। শারীরিক পরীক্ষাতেও চিন্ময়ীর সদ্য মা হওয়ার প্রমাণ মেলেনি


এরপরই পুলিস নিশ্চিত হয়ে যায় অন্য কারোর সন্তান চুরি করে এনেছেন চিন্ময়ী। গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়ীকে। বোঝা যায় শিশু চুরির পরিকল্পনা একা চিন্ময়ীর নয়। তার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে স্বামী প্রশান্ত বেজও। দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়। প্রশান্তের অভিযোগ, প্রতিবেশীদের বচসায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।


প্রশান্ত, সদ্যোজাতকে নিজের বলে দাবি করলেও, মানতে নারাজ পুলিস। তাঁদের ভাবাচ্ছে কী করে মেডিক্যালে ঢুকল চিন্ময়ী? তদন্তে উঠে আসছে চিন্ময়ীর এক আত্মীয়ের নামও।


আরও পড়ুন- পুরস্কার নয়, মায়ের কোলে সদ্যোজাতকে ফিরিয়ে দিয়ে তৃপ্ত বাগমারির চার কন্যে


চিন্ময়ীর সম্পর্কে এক মাসি মেডিক্যাল কলেজে আয়ার কাজ করেন। তার হাত ধরেই মেডিক্যাল কলেজে অবাধ যাতায়াত ছিল চিন্ময়ীর। শিশু চুরি নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই বেপাত্তা ওই মহিলা। পুলিসের নজরে হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীর ভূমিকাও। শুধু চিন্ময়ীর মাসি নয়। পুলিসের রেডারে খোদ সরস্বতী ও তার পরিবারও। তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে..প্রতিবেশী হওয়া সত্ত্বেও সরস্বতী কেন চিন্ময়ীকে চিনতে পারলেন না? CCTV ফুটেজ দেখেও সরস্বতীর পরিবারের লোকেরা কেন চিন্ময়ীকে চিনলেন না?


পরিবার কোনও তথ্য গোপন করছে কি? ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছেন পুলিস কমিশনারও। চিন্ময় ও প্রশান্ত বেজের ১০দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও শিশু অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষীদের ফাঁসির দাবি তুলেছেন সদ্যোজাতের মা।