নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্যে আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO। উদ্বেগে চিন-সহ গোটা বিশ্ব। কলকাতার অন্দরে চিনা পাড়াতেও আতঙ্ক। চায়না টাউন কতটা উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে? কী ভাবছেন সেখানকার বাসিন্দারা? তাঁদের খোঁজ নিতে পৌঁছে গিয়েছিল জি ২৪ ঘণ্টা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতার উপকণ্ঠে একটা আস্ত 'দেশ'। সন্ধের আলো জ্বলতেই চায়না টাউনে ম ম করে সুপ, চাউমিন, মোমোর গন্ধ। চিনা খাবারের টানে সাউথ ট্যাংরা রোডের চিনা পাড়ায় ভিড় জমান ভোজনরসিকরা। গভীর রাত পর্যন্ত ছোট-বড় প্রায় ৩০টি রেস্তোরাঁয় আনাগোনা মানুষের। গত ক’দিনে এই চিনা পাড়াতেই এসেছে উটকো সমস্যা। শুক্রবার থেকে সেই উদ্বেগ বাড়ল। 


পরিবাবের সঙ্গেই ছিলেন কিম লিং। মুখ থেকে মাস্ক খুলে বললেন, “চায়না টাউনে অনেকেই ঘর থেকে বেরোচ্ছেন মুখে মাস্ক পরে। সবার আলোচনাতেই এখন করোনাভাইরাস”। কথাটা ভুল বলেননি কিম। সত্যিই তাই! চায়না টাউনের অলিগলিতে বহু মানুষকেই দেখা গেল মাস্ক পরে ঘুরতে। কলকাতায় থাকেন, তবে চিনের সঙ্গে নাড়ির টান এখনও রয়ে গিয়েছে। এক বৃদ্ধ বললেন, “চিনে পরিস্থতি নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। বাড়ছে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। আমরা এখন দীর্ঘদিন ধরে কলকাতার বাসিন্দা, কিন্তু  চিনের মানুষ বিপদে শুনলে দুশ্চিন্তা হয়। সরকারের দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। ”


প্রকাশ্যে করোনাভাইরাস নিয়ে কথা বলতে চায় না চায়না টাউন। কান পাতলে শোনা যাচ্ছে আরও একটা গুঞ্জন। অনেকের বিশ্বাস, “এই ভাইরাসের পিছনে রয়েছে মার্কিন ষড়যন্ত্র।” নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বললেন, বাণিজ্য নিয়ে বেজিং-ওয়াশিংটন বিবাদ তুঙ্গে। ব্যবসায় এঁটে উঠতে না পেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হাতিয়ার করেছে করোনাভাইরাসকে। 


আরও পড়ুন- 'তারিখ পে তারিখ' নয়, নির্ভয়াকাণ্ডে ফয়সলা অন দ্য স্পট পারবেন ইনিই, দাবি সোশ্যালে