নিজস্ব প্রতিবেদন: শহরের পথেঘাটে নতুন বিপদ চিনা মাঞ্জা। মাঞ্জার জালে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। গ্রিন ট্রাইব্যুনাল সিন্থেটিক মাঞ্জায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবুও অসাধু কারবারে ছেদ পড়েনি। পথেঘাটে সিন্থেটিক মাঞ্জার জাল। যখন তখন বিপদ। তবুও বাজার ছেয়ে গেছে সিন্থেটিক মাঞ্জা বা চিনা মাঞ্জায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন এত বিপজ্জনক চিনা মাঞ্জা?


নাইলন সুতোর চিনা মাঞ্জায় থাকে লোহার গুঁড়ো, রাসায়নিক, সলিউশন গাম। সুতির মাঞ্জায় আঠা, সাবু, শিরিষ গাব বা ইসবগুলের সঙ্গে থাকে কাঁচগুঁড়ো। চিনা মাঞ্জা ৫০০ মিটারের দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা। সেখানে সুতির মাঞ্জা ৫০০ মিটারের দাম ৭০ থেকে ১০০ টাকা।


শুধু মানুষের জন্য বিপজ্জনক নয়। মাঞ্জা সুতোর জালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অসংখ্য পাখির মৃত্যু হয়েছে। তার জেরে কড়া নির্দেশ গ্রিন ট্রাইব্যুনালের। ২০১৫-র জুলাইয়ে চিনা মাঞ্জা বা সিন্থেটিক মাঞ্জার সুতো তৈরি, বিক্রি, মজুত ও ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে গ্রিন টাইব্যুনাল। 


কিন্তু তাতে কী। শুধুমাত্র টাকার লোভে গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে প্রাণঘাতী মাঞ্জার অসাধু কারবার।


এদিন দুপুরে মা ফ্লাইওভার ধরে স্কুটি চড়ে মুকুন্দপুর যাচ্ছিলেন এসএসকেএমের চিকিত্সক সৈকত চক্রবর্তী। হঠাতই তাঁর গলা, মুখে জড়িয়ে যায় মাঞ্জা দেওয়া সুতো। রক্তাক্ত অবস্থায় ব্রিজে দাঁড়িয়ে পড়েন সৈকতবাবু। ঘটনাস্থলে আসে তপসিয়া থানার পুলিস। আহত অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর গলা ও মুখসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সেলাই হয়েছে। শহরে এধরনের ঘটনা নতুন নয়। চাইনিজ মাঞ্জার সুতোর শিকার হয়েছেন অনেকেই। 


আরও পড়ুন- কালো টাকা উদ্ধারে সাফল্য; ২ কোম্পানি, ৩ ব্যক্তির তথ্য দিতে রাজি সুইত্জারল্যান্ড