কেন্দ্রে চিটফান্ড সরকার চলছে, পুরোটাই ভাঁওতাবাজি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
`দেশে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা চলছে। কোথা থেকে পয়সা হবে, তার কোনও দিক নির্দেশ নেই বাজেটে।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : মিথ্যার বাজেট। ভাঁওতাবাজি (Farce) বাজেট। মেয়াদ উত্তীর্ণ বাজেট। এই বাজেট দেশের সাধারণ মানুষকে ঠকাতে বিজেপির ম্যানিফেস্টো। ২০১৯ অন্তবর্তী বাজেটকে এভাবেই চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, এক মাস বাকি আর এই সরকারের। এখন এই বাজেট পুরোটাই দেখানোর জন্য। কেন্দ্রীয় সরকার চিটফান্ড কোম্পানির মতো কাজ করছে বলেও সাংবাদিক অধিবেশনে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্তর্বর্তী বাজেটে কৃষকদের জন্য কিষাণ নিধি যোজনার কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। এই প্রকল্পে ছোটো কৃষক যাদের ২ হেক্টর জমি রয়েছে, তাঁদেরকে বছরে ৬০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। যার পুরোটাই তাদের প্রকল্পকে 'টুকলি' করা বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
আরও পড়ুন, কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বছরে ৬,০০০ টাকা, ঘোষণা পীযূষের
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার আগেই শস্যবিমা চালু করেছে। শস্যবিমার আওতায় ১ হেক্টর জমি থাকলেই এরাজ্যের কৃষকদের সরকার ৫০০০ টাকা করে দিচ্ছে বলে জানান তিনি। আর এই টাকা কোনওভাবেই কেন্দ্র থেকে নেওয়া হচ্ছে না। পুরোটাই রাজ্যের খরচ। কেন্দ্র থেকে টাকা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে মন্ত্রিসভায়।
আরও বলেন, গত ৪ বছরে মোদী সরকার কৃষকদের কথা ভাবেনি। এতদিনে মনে পড়েছে। এখন ভোটের ১ মাস আগে কৃষকদের কথা মনে পড়েছে। তাই প্রকল্প ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু কৃষকদের ঘুষ দেওয়া যায় না। এরা কৃষকদের ঠকাচ্ছে। মমতা বলেন, এই সরকারের আর এক মাস বাকি। তাই এই বাজেট মেয়াদ উত্তীর্ণ বাজেট। দেশে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা চলছে। কোথা থেকে পয়সা হবে, তার কোনও দিক নির্দেশ নেই বাজেটে।
আরও পড়ুন, Budget 2019 LIVE: ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে আয়কর ছাড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
কিষাণ নিধি যোজনার পাশাপাশি কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পকেও এদিন ফের একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি সাফ জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগেই ৫ লাখ টাকার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছে। এখন কেন্দ্রীয় সরকার আয়ুষ্মান ভারতের জন্য চিঠি পাঠাচ্ছে। কিন্তু, ওই চিঠির কোনও গুরুত্ব নেই। রাজ্যকে এড়িয়ে কেন্দ্র সমান্তরাল রাজ্য সরকার চালাচ্ছে বলে তোপ দাগেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, কেন্দ্রের মোদী সরকারের এহেন আচরণ যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী। এরফলে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভেঙে পড়ছে।