ওয়েব ডেস্ক : ভবানী ভবনে দীর্ঘ জেরার পর জঙ্গি সন্দেহে মসিরুদ্দিনকে গ্রেফতার করল CID। গতকালই বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জের থেকে তাকে আটক করা হয়। ISIS-এর সঙ্গে মসিরুদ্দিনের যোগ রয়েছে বলেও সন্দেহ গোয়েন্দাদের। আজ বেলা বারোটা নাগাদ মসিরুদ্দিনকে  ভবানী ভবনে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই লাগাতার জেরা করা হয় তাকে। CID-র পাশাপাশি, মসিরুদ্দিনকে জেরা করেন NIA-এর অফিসারেরাও। এরপরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মসিরুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ  করে আটক করা হয়েছে শেখ কালু ও শেখ আমিন নামে আরও দুজনকে। আহমদপুর স্টেশনে মসিরুদ্দিনের জন্য অপেক্ষা করছিল তারা। তাদেরও জেরা করছে CID। অন্যদিকে, ISIS  শীর্ষ  নেতা সফি আরমারের সঙ্গে মসিরুদ্দিনের যোগাযোগের কথা  জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। ই-মেল ও সোস্যাল সাইটের মাধ্যমে আরমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত মসিরুদ্দিন। কাজের সূত্রে মসিরুদ্দিন  দীর্ঘদিন  দক্ষিণ ভারতে ছিল । গোয়েন্দাদের দাবি, সেখানেই ISIS-এর কোনও মডিউলের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়।


গত সপ্তাহে হায়দরাবাদে ISIS-এর যে জঙ্গি মডিউল ধরা পড়ে সেই সূত্রেই খোঁজ মেলে মসিরুদ্দিনের। ধৃতের কাছে থেকে পাওয়া  নথি ও মোবাইল ফোনের কললিস্ট ট্র্যাক করে  গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন  সিরিয়া-আফগানিস্তান সহ মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশে তার যোগাযোগ ছিল । কিন্তু, কেন এসব দেশে সে যোগাযোগ রাখত তার কোনও সদুত্তর দিতে পারে নি মসিরুদ্দিন । ইতিমধ্যেই মসিরুদ্দিনকে নিয়ে বেশকয়েকটি জায়গায় তল্লাসি চালিয়েছে CID। মসিরুদ্দিন কেন এয়ারগান ও চপার নিয়ে যাচ্ছিল তাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। তার  কাছ থেকে অস্ত্র ছাড়াও মিলেছে ছটি সিমকার্ড এবং দুটি নকল ভোটার কার্ডও।