পিয়ালি মিত্র: আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি নেই আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধরের সম্পত্তির। সম্প্রতি এমনটাই এক তথ্য সামনে আসার পর ব্যারাকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে সিআইডি। তরপরেই তদন্ত শুরু। সেই মামলার সূত্র ধরেই আজ সল্টলেক, যোধপুর পার্ক-সহ শহরের ৫ জায়গায় তল্লাশি চালায় সিআইডি। তল্লাশি চালানো হয় দেবাশিস ধরের বাড়িতে। সিআইডি সূত্রে খবর ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত দেবাশিস ধরের সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে আয়ের তুলনায় ৩৭৫ শতাংশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ভয়াবহ সেই ঘটনার ২১ বছর! স্মরণে, শোকজ্ঞাপনে জো বাইডেন


শীতলকুচি গুলিকাণ্ডের পর সাসপেন্ড করা হয়েছিল কোচবিহারের তত্কালীন পুলিস সুপার দেবাশিস ধরকে। ওই মামলার তদন্তও করছে সিআইডি। তবে বর্তমানে তাঁর সম্পত্তির বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছে সিআইডি। সেই খোঁজ খবর করতে গিয়ে দেবাশিস ধরের সম্পত্তির ওই বিপুল সম্পত্তি বৃদ্ধির সন্ধান পেয়েছে সিআইডি। এই পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি কীভাবে সম্ভব? সেটাই তদন্ত করে দেখছেন সিআইডির তদন্তকারীরা। যোধপুর পার্কে দেবাশিস ধরের বাড়ির পাশাপাশি রোজভ্য়ালি কাণ্ডে গ্রেফতার সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিআইডি। তবে ওইসব তল্লাশি থেকে গুরুত্বপূর্ণ তেমন কিছু হাতে আসেনি বলেই জানা যাচ্ছে। কারণ যেসব জায়গায় তল্লাশি হয়েছে সেখানে অধিকাংশ জায়গাতেই বাড়ি বন্ধ ছিল। ওই তল্লাশি নিয়ে দেবাশিস ধরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, সিআইডি আধিকারিকরা এসেছিলেন। আমার কাছে যা জানতে চেয়েছিলেন তা বলেছি। তদন্তে সহযোগিতা করেছি। ভবিষ্যতেও করব।


রাজ্যেরই এক আইপিএস অফিসারের সম্পত্তি বৃদ্ধির ব্যাপারে রাজ্যেরই এক তদন্ত সংস্থা তদন্তে নেমেছে। ফলে গুরুত্বের দিক থেকে দেখতে গেলে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা। উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের সময় শীতলকুচির জোড়পাটকি ১২৬ নম্বর বুথে গোলমালের জেরে গুলি চালিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। মৃত্যু হয় ৪ জনের। সেই ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হয় কোচবিহারের তত্কালীন পুলিস সুপার দেবাশিস ধরকে। তার পরই ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি।  ওই ঘটনার তদন্তে গত ২১ জুন ভবানীভবনে তলব করা হয় দেবাশিস ধরকে। পুলিস সুপার হিসেবে ঘটনার সময় তাঁর কী ভূমিকা ছিল তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দেবাশিসবাবুকে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)