Bangladesh MP Killings: সেপটিক ট্যাঙ্কে মিলল ৪ কেজি মাংসের টুকরো, অভিযুক্ত সিয়ামের খোঁজে নেপালে সিআইডির দল
Bangladesh MP Killings: মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের তরফে সিআইডিকে অনুরোধ করা হয় দুটি জায়গায় তল্লাশি চালানোর জন্য। একটি হল যে ফ্ল্যাটে আনারকে খুন করা হয় তার সেপটিক ট্যাঙ্ক ও অ্যাপারট্মেন্টের পাশের একটি খালে
পিয়ালি মিত্র: বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার খুনে গতকাল একটি ব্রেক ফ্রু পেয়েছে সিআইডি। এমনটা বলাই যেতে পারে। কারণ নিউ টাউনের যে অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন আনার সেখানকার সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মিলেছে মাংসের টুকরো ও চুল। অনুমান করা হচ্ছে ওইসব মাংস ও চুল আনারের হতে পারে। তবে ফরেন্সিক বা ডিএনএ পরীক্ষার আগে এনিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাবে না। তবে তদন্ত আরও এনিয়ে নিয়ে যেতে নেপাল পর্যন্ত যাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন-'সোনার জামাই'-কে হারিয়ে কাঁদকে কাঁদতে জ্ঞান হারাচ্ছেন এমপির শাশুড়ি
সিআইডি সূত্রে খবর আনার খুনের তদন্তে এবার নেপাল যাচ্ছে সিআইডির একটি টিম। কারণ আনার খুনের পর অভিযুক্ত সিয়াম নেপালে পালিয়ে গিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি খুনের মূল চক্রী আক্তারুজ্জমান বাংলাদেশ থেকে দিল্লি হয়ে কাঠমান্ডু গিয়েছে বলে খবর রয়েছে। তাই তদন্তকারীরা যাচ্ছেন নেপালে।
খুনের ঘটনার সময়ে উপস্থিত ছিল সিয়াম। দেহ লোপাটেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। মনে করা হচ্ছে নেপালেই কোথাও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে সিয়াম। অন্যদিকে প্ল্যান ছকে দেওয়ার পর গত ১০ মে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে পালায় আক্তারুজ্জামন। কাজ হয়ে যাওয়ার পর বেশিরভাগ অভিযুক্ত বাংলাদেশে ফিরে যায়। তার পরেই আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ থেকে দিল্লির বিমান ধরেন। সেখান থেকে কাঠামান্ডু চলে যান। তাই সেখানেও যাচ্ছেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে, কলকাতার আসার কথা রয়েছে সাংসদের মেয়ের। তিনি এলে ডিনিএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে তদন্তকারীদের
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের তরফে সিআইডিকে অনুরোধ করা হয় দুটি জায়গায় তল্লাশি চালানোর জন্য। একটি হল যে ফ্ল্যাটে আনারকে খুন করা হয় তার সেপটিক ট্যাঙ্ক ও অ্যাপারট্মেন্টের পাশের একটি খালে। সেই অনুরোধ মতো সিআইডি সিএসএফএলের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ট্যাঙ্কে তল্লাশি চালানো হয়। সেই ট্যাঙ্ক থেকে প্রচুর ছোট ছোট মাংসের টুকরো পাওয়া গিয়েছে। তার ওজন প্রায় ৪ কেজি। পাশাপাশি পাওয়া যায় চুলও। এখন ফরেন্সিক পরীক্ষার পর বোঝা যাবে ওই মাংস কোনও মানুষের কিনা। তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান মাংস ছোট টুকরো করে তা কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আনারের দেহাংশ সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয়েছে এমনটাই দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিএমপি ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিবি) আব্দুল আহাদ। তিনি জানিয়েছেন, সেপটিক ট্যাংক থেকে এমপি আনারের মরদেহের যে খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়েছে, তার ওজন প্রায় চার কেজি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)