দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিক্রম দাস: যাদবপুরকাণ্ডে যখন তোলপাড় চলছে রাজ্যে, তখন ভিনরাজ্যে পড়তে গিয়ে মৃত্যু কলকাতার পড়ুয়ার। কীভাবে? পরিবারকে তদন্তে আশ্বাস দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। সূত্রের খবর তেমনই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: JU Student Death: 'হাসপাতালে যাদবপুরের মৃত পড়ুয়ার মৃত্যুকালীন জবানবন্দি নিতে বাধা পুলিসকে'!


ঘটনাটি ঠিক কী? মৃতের নাম রীতি সাহা। বাড়ি, টালিগঞ্জের রানিকুঠীতে। মাধ্য়মিক পাশ করার পর, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের একটি কলেজে ভর্তি হয়েছিল সে। লক্ষ্য ছিল, ডাক্তার প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া।


পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ঘড়িতে তখন ১১টা। ১৪ জুলাই রাতে কলেজ থেকে ফোন করে জানানো হয়, চারতলা থেকে নীচে পড়ে মৃত্যু হয়েছে রীতির। পরে আবার বলা হয়, চারচলা নয়, সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছে ওই পড়ুয়া। মৃতের বাবার জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেন, 'সপ্তাহখানেক আগে হস্টেলের বাথরুমে বিয়ারের বোতল পাওয়া গিয়েছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিল মেয়ে'। তাঁর প্রশ্ন, 'প্রতিবাদ করাই কি কাল হল'? 


এদিন রানিকুঠীতে মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বাবার সঙ্গে কথা বলেন দীর্ঘক্ষণ। সূত্রের খবর, বাড়ি থেকেই ফোনে তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলিয়ে দেন মন্ত্রী। সব শোনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দেন, রাজ্য সরকার তদন্ত করবে'। শুধু তাই নয়, কলেজ ও হস্টেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করেছে নেতাজিনগর থানার পুলিস। ঘটনার তদন্ত ভার নিতে চলেছে সিআইডি। 



আরও পড়ুন: JU Student Death: 'গার্লফ্রেন্ড নেই বলতেই যৌন পরিচয় নিয়ে টিটকিরি, বিবস্ত্র হতে বাধ্য!'


এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে মেদিনীপুরের এক পড়ুয়ার। মৃতের নাম সৌরদীপ চৌধুরী। পরিবারে লোকেদের দাবি, হঠাৎ হস্টেল থেকে ফোন আসে। জানানো হয়, হস্টেলে ১১ তলা থেকে পড়ে গিয়েছে সৌরদীপ। এরপর বিজয়ওয়াড়ায় দিয়ে ছেলের মৃত্যুসংবাদ পান তাঁরা। কীভাবে মৃত্যু? বারবার জানতে চাওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তরফে সদুত্তর মেলেনি! মানসিক নির্যাতন ও র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ করেছেন মৃতের বাড়ির লোকেরা। শুধু তাই নয়, শেষে মেসেজে নাকি লিখেছিলেন, 'টাটা'! তদন্তে নেমেছে পুলিস।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)