নিজস্ব প্রতিবেদন: পামেলা গোস্বামীর মাদক মামলায় সিআইএসএফের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ। অভিযোগ তুলছে খোদ কলকাতা পুলিস। লালবাজার সূত্রে খবর, তদন্তে সহযোগিতা করছে না সিআইএসএফ। রাকেশ সিংহের নিরাপত্তায় কোন কোন CISF জওয়ান ছিলেন, তাদের নাম জানতে চেয়ে একাধিকবার আইজি এসজিকে চিঠি দিয়েছে কলকাতা পুলিস। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি বলে অভিযোগ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পামেলাকাণ্ডের কিনারা করতে তৎপর পুলিস। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাকেশ সিং কে মাদক পাচারের অভিযোগে সল্টলেক থেকে গ্রেফতার হয় অমৃতা সিং ওরফে সুইটি। জানা গিয়েছে, মেল প্রেরক ঐ সন্দীপ আগরওয়াল আদতে সুইটির স্বামী। সম্প্রতি রাকেশ সিং কে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। 


প্রসঙ্গত, শহরের বেশ কিছু নাইট ক্লাবে পেশায় মডেল সুইটির নিয়মিত যাতায়াত ছিল বলে জানায় পুলিস। সেখান থেকেই বিপুল টাকার মাদক সংগ্রহ করে সে রাকেশ সিং কে পাচার করত বলে অভিযোগ। পুলিসি জেরায় প্রিয়াঙ্কা আরও জানায় যে প্রতি সপ্তাহে প্রায় গ্রাম পিছু ৯৫০০ টাকার মাদক কিনত সে। নাইট ক্লাব গুলির বেশকয়েকজন ডিজেদের সঙ্গেও তার পরিচয় ছিল। তবে এই বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে রাকেশ সিং কী করত তা জানতে ইতিমধ্যেই সুইটিকে জেরা করছে পুলিস। পাশাপাশি নাইট ক্লাবগুলির উপরেও নজর রাখছে পুলিস।


লালবাজার সূত্রের খবর, বিজেপি নেত্রীর গ্রেফতারির দু'দিন আগে সন্দীপ আগরওয়াল নামে এক জনৈকের কাছ থেকে একটি মেল পেয়েছিলেন কলকাতা পুলিসের এক শীর্ষপদস্থ কর্তা। যেখানে বলা হয় কোনও এক মহিলাকে কোকেন পাচারের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টায় চক্রান্ত চালাচ্ছেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। এরপরই মাদক সমেত পুলিসের জালে ধরা পড়ে পামেলা গোস্বামী। তবে কি পরিকল্পনামাফিক ফাঁসানো হয়েছে পামেলাকে? উঠছে প্রশ্ন।