পিয়ালি মিত্র, কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: আত্মসমর্পন করলেন কলকাতা জাদুঘরে (Indian Museum) এলোপাথাড়ি গুলি চালানো সিআইএসএফ (CISF) জওয়ান। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম অক্ষয়কুমার মিশ্র। তিনি সিআইএসএফ-এর ইউনিট হেড। এলোপাথাড়ি গুলিতে একজন কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম রঞ্জিতকুমার সারেঙ্গি এবং মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও এক অফিসার। যার নাম সুবীর ঘোষ। অভিযুক্ত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে সূত্রের খবর। সেই মানসিক অবসাদের কারণেই গুলি চালানোর ঘটনা কিনা তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে রয়েছেন কলকাতা পুলিসের কমিশনার। তিনি দাঁড়িয়ে থেকে রুদ্ধশ্বাস অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভিতরে ঢোকে কলকাতা পুলিসের কম্যান্ড বাহিনী। টিয়ার গ্যাস ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে মাইকিং করা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টার অভিযানে শেষে অভিযুক্ত জওয়ানকে নিরস্ত্র করে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই বিষয়ে কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, "সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ আমাদের কাছে খবর আসে। জানতে পারি ভারতীয় জাদুঘরের ভিতরে গুলি চলেছে। এরপর ডিসি সেন্ট্রাল এবং আমাদের বাহিনী সেখানে পৌঁছায়। সিআইএসএফ-এর সঙ্গে আমরা কথা বলি। অবশেষে অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলে আমরা তাঁকে গ্রেফতার করেছি। এবার তদন্ত চলবে। একজন অ্যাসিসটেন্ট সাব-ইন্সপেক্টরের মৃত্যু হয়েছে। একজন অ্যাসিসটেন্ট কম্যাডন্ট পদের অফিসার আহত হয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ১৫ রাউন্ড গুলি চলেছে।"



গত জুন মাসে ভরদুপুরে পার্ক সার্কাসে এলোপাথাড়ি গুলি চালান কলকাতা পুলিসের এক কর্মী। বাংলাদেশ হাই-কমিশনের সামনে এই শুটআউটের ঘটনা ঘটে। চৌদুপ লেপচা নামে ওই পুলিসকর্মী গুলিচালান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক মহিলার। বুকে গুলি লাগে তাঁর। এরপর নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে 'আত্মঘাতী' হন অভিযুক্ত পুলিসকর্মী। পুলিস সূত্রে জানা যায়, চৌদুপ লেপচার বাড়ি কালিম্পঙে। তিনি কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের কাজ করতেন। ঘটনার দিন পাঁচেক আগে সশস্ত্র বাহিনীর পঞ্চম ব্যাটেলিয়নে পোস্টিং হন তিনি। বাংলাদেশের হাই কমিশনের সামনের কিয়স্কে কর্মরত ছিলেন ছিলেন চৌদুপ লেপচা। হঠাৎই সার্ভিস রাইফেল বের করে এলোপাথাড়ি গুলি চালান তিনি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)