কমলিকা সেনগুপ্ত: ঘড়ির কাঁটা ধরে ঠিক বিকেল ৪ টে। মেটিয়াবুরুজে বলতে শুরু করলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। হুঁশিয়ারি দিলেন, নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাংলায় কোনওমতেই কার্যকর করতে দেবেন না। গতকাল, মঙ্গলবার দলকে শপথবাক্য পাঠ করান মমতা। বুধবার মেটিয়াবুরুজের মানুষকে শপথ পাঠ করালেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। বললেন. "শপথ করুন আইন হাতে নেবেন না। আমি বলছি কোনওদিন NRC ও CAB রাজ্যে হতে দেব না। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হলেও রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়"।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মেটিয়াবুরুজে ৬০ শতাংশেরও বেশি সংখ্যালঘুর মানুষের বাস। রাজ্যে নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব আইন সংশোধনীর বিরোধিতায় অধিকাংশই হয়েছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায়। ইতিমধ্যেই মেরুকরণের রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। খোদ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,''পোশাক দেখেই বোঝা যাচ্ছে কারা হিংসা ছড়াচ্ছে। আমিও টিভিতে বিক্ষোভের দৃশ্য দেখেছি। তাতে ভারতবাসী নিশ্চিত হয়েছেন মোদী ও সংসদ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এনে সঠিক কাজ করেছে।'' প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের উদ্দেশ্য মেরুকরণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। স্বাভাবিকভাবে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্যে ভুল কিছু দেখেননি অমিত শাহ। তাঁর মন্তব্য, প্রধানমন্ত্রী কি খারাপটা বলেছেন? উনি নিজের পক্ষ রেখেছেন। তার সমালোচনা বা প্রশংসা হতেই পারে। এমতাবস্থায় সংখ্যালঘু এলাকায় দাঁড়িয়ে অভিষেকের শপথবাক্য পাঠ তাত্পর্যপূর্ণ তো বটেই। 



ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের অভিযোগ, কিছু মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা হয়েছিল। অমিতের উদ্দেশে তাঁর হুঁশিয়ারি, "আমাকে ফাঁসি দিলে জেলে পাঠালেও আমি এখানে কিছুতেই NRC ও CAA করতে দেব না। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ব। আও দেখে জারা কিতনা হ্য়ায় দম।" নাম না করে আসাউদ্দিন ওয়াইসির দলকেও আক্রমণ করেছেন নেত্রীর ভাইপো। বলেন, "যারা নিজেরা নিজেদের জায়গা থেকে বিজেপি তাড়াতে পারছে না, তারা কী করবে!" 
 


আরও পড়ুন- গ্রামে ২টো স্টেশনে সামান্য কিছু ঘটেছে, গুলি করে মেরে দিতে বলছেন? রণংদেহি মমতা