নিজস্ব প্রতিবেদন: ইন্দিরার গান্ধীর মস্তিষ্কপ্রসূত National Policy on Education (NPE) চালু করেছিলেন রাজীব গান্ধী। সেটা ছিল ১৯৮৬ সাল। ওই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থীরা। লিফলেটে শিক্ষানীতির ভুলভ্রান্তিগুলি তুলে ধরেছিল এসএফআই, ডিওয়াইএফআই। পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বাড়ি বাড়ি। সেই বামপন্থী কৌশলই অনুসরণ করল পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি। ফোর জি-র যুগেও একেবারে বামপন্থী কায়দায় ছাপানো হয়েছে লিফলেট। কী থাকছে তাতে? বিরোধীদের তোলা সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে লিফলেটে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাস্তায় নেমে লাগাতার কর্মসূচি নিয়ে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পিছিয়ে নেই বাম-কংগ্রেসও। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় সকলের চাঁদমারি বিজেপি। CAA ও NRC  বিরোধিতায় সরব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও নাগরিক সমাজ। গেরুয়া শিবিরকে কোণঠাসা করার চেষ্টায় সামিল অন্যান্য ছোটবড় দল ও নানা সংগঠন। বঙ্গ বিজেপি-র নেতারা মুখে বলছেন, বিরোধীরা যত একজোট হবে ততই ভোটারদের মেরুকরণে লাভ কুড়োবেন তাঁরা। কিন্তু, ভিতরের আশঙ্কাটা যাচ্ছে কই!


মোদী হাওয়া, হিন্দুত্ব, জাতীয়তাবাদের ইস্যুতে লোকসভা ভোটে বাংলায় ভাল ফল করেছে বিজেপি। কিন্তু, রাজ্যবাসীর একাংশের মনে এখন দানা বেঁধেছে এনআরসি-র আতঙ্ক। অসমে নাগরিকপঞ্জি থেকে ১২ লক্ষ হিন্দুর নাম বাদ গিয়েছে। এনআরসি নিয়ে হিন্দুরাও যে আতঙ্কে তার প্রমাণ কয়েকদিন আগেই ৩ বিধানসভা আসনে বিজেপির হার। এ হেন পরিস্থিতিতে হিন্দু উদ্বাস্তুদের মন জয় করতে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছে মোদী সরকার। কিন্তু, বিরোধীরাও একযোগে প্রচার শুরু করে দিয়েছে, ইতিমধ্যেই যাঁরা নাগরিক, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নাম করে পরীক্ষার মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। 


নতুন নাগরিকত্ব আইন, নাগরিকপঞ্জি বা ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রার- সবই মানুষকে ঘরছাড়া করার চক্রান্ত। এই প্রচার ইতিমধ্যেই পুরোদমে শুরু করে দিয়েছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে পাল্টা মানুষকে বোঝানোর কৌশল নিয়েছে বিজেপি। উদ্বাস্তু হিন্দু-সহ সবার আশঙ্কা দূর করতে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন ও উত্তরমালা। অর্থাত্ জটিল আইন পড়ার দরকার নেই। ছাত্রবন্ধুর মতো প্রশ্ন ও উত্তর দিয়ে বিষয়টিকে সরল করার চেষ্টা করেছে রাজ্য বিজেপি।    




প্রথম পাতায় নাগরিকত্ব আইন, কারা ভারতের নাগরিক, নাগরিকত্ব আইন সংশোধনে কী বলা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা রয়েছে। দ্বিতীয় পাতায় দাবি করা হয়েছে, এনআরসির সঙ্গে এনপিআরের সম্পর্ক নেই। এনআরসি
কবে হবে, তা পরে ঠিক করা হবে। হিন্দু উদ্বাস্তুরা নাগরিকত্বের আবেদন করলে প্রতিবেশি দেশে ধর্মীয় নির্যাতনের কোনও প্রমাণ দিতে হবে না। 



বিজেপির পাখির চোখ ২০২১। কিন্তু, CAA-NRC-NPR থেকে পিছু হঠা আর সম্ভব নয়। বরং এই অস্ত্রেই বাজিমাতের আশায় তারা। তাই মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা ছাড়া অন্য রাস্তা নেই। প্রচারে প্রায় ৩০ হাজার বিস্তারককে বাড়ি বাড়ি পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। 


আরও পড়ুন- CAA-র বিরুদ্ধে বিরোধীদের একজোটের লক্ষ্যে রাঁচিতে মমতা, স্বাগত জানালেন হেমন্ত