অঞ্জন রায়: নাগরিকত্ব সংশোধনী ও নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতায় তেড়েফুঁড়ে রাস্তায় নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেত্রী। পরপর ৩ দিন পদযাত্রা করেছেন। আগামী ২দিনও রয়েছে কর্মসূচি। তাই নয়, লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এহেন পরিস্থিতিতে 'পাবলিক সেন্টিমেন্ট' যাতে মমতা সবটা নিয়ে যেতে না পারেন, সেজন্য পাল্টা কৌশল নিল বিজেপি। রাজ্যে আনার চেষ্টা চলছে মোদী বা শাহকে।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ, বুধবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপির পাল্টা কর্মসূচি। রাজ্যজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত রেল স্টেশনগুলি ও আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়ে পড়েছেন বিজেপি নেতারা। স্বাভাবিকভাবে তাঁদের আটকেছে পুলিস। মুর্শিদাবাদে বাধা পেয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আবার মালদহে স্টেশন দেখতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছে দুই সাংসদ খগেন মুর্মু ও নিশীথ প্রামাণিক। বিজেপি জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা প্রশ্ন তুলেছেন, রাজ্যে কি বিরোধীরা কোনও কর্মসূচি নিতে পারবে না? গণতন্ত্র কি নেই?            


ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী সভায় প্রধানমন্ত্রী হতে তুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের হিংসাচিত্রের পুস্তিকা। ২৩ ডিসেম্বর শহরে পদযাত্রা বা সভা করার কথা বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডার। পরের দিন তাঁর সভা উত্তরবঙ্গে। জানুয়ারি মাসে কলকাতায় মোদী বা শাহের জনসভা করার চেষ্টা করছে রাজ্য বিজেপি। ৩টি সম্ভাব্য তারিখ পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। 



বিজেপির দাবি, তৃণমূলের সঙ্গে আম জনতা নেই। রয়েছে একটি বিশেষ সম্প্রদায়। এটাই হতে চলেছে বিজেপির প্রচার-কৌশল। জায়গায় জায়গায় প্রচার করা হবে, সংখ্যালঘু তোষণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সুর বেঁধে দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেছেন, ''পোশাক দেখলেই বোঝা যাচ্ছে কারা হিংসা ছড়াচ্ছে।'' এর পাশাপাশি ২০০৫ সালে অনুপ্রবেশকারী তাড়ানোর দাবিতে সংসদে মমতার রণংদেহি অবতারের ভিডিয়োও প্রচার করা হচ্ছে। সেটি ভুয়ো বলে এদিন দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, CAA ও NRC নিয়ে রাজ্যে প্রবল মেরুকরণের ঝড় তোলাই বিজেপির লক্ষ্য। সেটা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে নেতৃত্ব।         


 আরও পড়ুন- গ্রামে ২টো স্টেশনে সামান্য কিছু ঘটেছে, গুলি করে মেরে দিতে বলছেন? রণংদেহি মমতা