নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে রাজ্যের একাধিক জায়গায় ছড়িয়েছে হিংসা। হিংসার মোকাবিলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলায়  প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ,"দীর্ঘ দিন ধরে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা যায় না। তা করতে গেলে উপযুক্ত কারণ থাকা বাঞ্চনীয়।" এনিয়ে রাজ্যকে জেলাওয়াড়ি রিপোর্ট সংগ্রহ করে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে পরিণত হওয়ার পর গত শুক্রবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয় হিংসা। লাগাতার হিংসায় জ্বলেছে বাস, ট্রেন। ট্রেন লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে ইট-পাটকেল। ভাঙা হয়েছে স্টেশন, দোকানপাট। হিংসার ছবি, ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। হিংসা নিয়ন্ত্রণে তাই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। ওই মামলায় রাজ্য সরকার শুক্রবার জানায়,CAA নিয়ে সমগ্র দেশজুড়ে প্রতিবাদ চলছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান ও বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে। ইন্টারনেট শুধু এরাজ্যে নয় উত্তর-পূর্বের অসম, মধ্যপ্রদেশের ভোপালে বন্ধ করা হয়েছে। যাতে হিংসার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে না পড়ে।


মামলাকারীর আইনজীবী সরজিত রায় চৌধুরী প্রশ্ন করেন, গত ৩ দিনে শান্তির কথা বলা হচ্ছে। অথচ গতকাল হাওড়ার জেলাশাসক অশান্তির আঁচ করে, বিক্ষোভের আশঙ্কা করে আগাম সতর্কতা জারি করেছেন। প্রধান বিচারপতি তখন বলেন, অনেক সময় রাজ্যের দফতরগুলির মধ্যে তালমিলের অভাব থাকে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ,"দীর্ঘ দিন ধরে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা যায় না। তা করতে গেলে উপযুক্ত কারণ থাকা বাঞ্চনীয়।"



জেলাওয়াড়ি হিংসার রিপোর্ট নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা চেয়েছে হাইকোর্ট। তা জমা দিতে হবে সোমবারের মধ্যে।  ওইদিনই দুপুর ১২টায় ফের মামলার শুনানি। একইসঙ্গে রিপোর্ট দিতে হবে রেল ও ভারত সরকারকে।


আরও পড়ুন- নাগরিকত্ব জট কাটাতে ৩ দফা শর্ত দিয়ে আরও বিভ্রান্তি বাড়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক