নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন রাজ্যে কার্যকর হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনলে পস্তাতে হবে দলের কর্মশালায় সতর্ক করে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দাবি করেছেন, অনলাইনে সিএএ ফর্ম ভরতে হবে সবাইকে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে রয়েছে- বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু শরণার্থীরা আবেদন করলে ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে নেতা-কর্মীদের পাঠ দিতে কর্মশালার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য বিজেপি। কলকাতায় ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে দলের কর্মশালায় দিলীপ ঘোষ বলেন,''মমতার কথা শুনলে বিপদে পড়বেন। জিএসটির সময় বিরোধিতা করেছিলেন। তখন যাঁরা করেননি পরে জিএসটি চালু হওয়ার পর বেশি টাকা দিয়ে আবেদন করতে হয়েছিল। মমতার কথায় চলবেন না।''


অবিজেপি রাজ্যগুলিতে সংশোধিত আইনে নাগরিকত্বের ব্যবস্থা করতে বেগ পেতে হবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সে কারণে রাজ্যগুলিকে এড়িয়ে অনলাইনে গোটা ব্যবস্থা কার্যকর করার ভাবনাচিন্তা করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সে কথাই শোনা গিয়েছে দিলীপের গলায়। তিনি বলেন, ''অনলাইনে সিএএ-র ফর্ম ফিল আপ করতে হবে। বেশিদিন সময় পাবেন না। ফর্ম ফিল আপ সবাইকে করতে হবে। যারা করবেন না এদেশে ৫ বছর আছেন, তার প্রমাণ দিয়ে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে।'' বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ দাবি করেছেন, ফেব্রুয়ারি মাসেই শুরু হয়ে যাবে অনলাইনে ফর্মপূরণের কাজ।


তবে দিলীপের মন্তব্যে উঠছে প্রশ্ন। নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের নির্যাতিত হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খৃষ্ট্রানদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। ২০১৪ সালে ৩১ মার্চের আগে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা শরণার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন সংশোধিত আইনে। 



নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে এঁটে উঠতে কর্মীদের পাঠ দিচ্ছে বিজেপি। সে কারণে রাজ্যজুড়ে আয়োজন করা হয়েছে কর্মশালা। তাতে যোগ দিয়েছেন বুধস্তরের কর্মীরাও। বিলি করা হয়েছে পুস্তিকা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার অভিযান দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন- CAA বিরোধিতায় তৃণমূলকে নিয়ে ছুৎমার্গ নেই, মমতাকে চিঠি কেরলের বাম মুখ্যমন্ত্রীর