নিজস্ব প্রতিবেদন: ট্রেন-বাস জ্বালিয়ে, ভাঙচুর করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ চলছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। বিক্ষোভে বিজেপির হাত রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিলেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বার্তা, অরাজকতা করে বাংলায় বিজেপির হাত শক্ত করবেন না। পথ অবরোধ করে, বাস জ্বালিয়ে বাংলার মানুষের ক্ষতি হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফিরহাদ বলেন,''এটা হিন্দু মুসলিমের লড়াই নয়। একটা সম্প্রদায়কে অরাজকতা করতে চাগাড় দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির হাত শক্ত করছেন আপনারা। বাংলায় এনআরসি করতে দেব না বলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনও কার্যকর হবে না। তাহলে বাংলার মানুষের অসুবিধা কেন করব?'' 


ফিরহাদের সতর্কবাণী, আপনাদের এসব কাজকর্মের ফলে ৭০ শতাংশ মানুষ অমিত শাহের পক্ষে হয়ে যাবে। রাজ্যে বিজেপি এসে গেলে মাথা নীচু করে থাকতে হবে। তখন আর রাস্তায় কেউ নামবে না। মমতার আন্দোলনে সামিল হোন। বাংলার ক্ষতি হচ্ছে। দিল্লির অমিত শাহ হাসছেন।


বাংলায় রাষ্ট্রপতি জারির সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। বলেছেন, "আমরা নির্বাচিত সরকারকে ফেলতে চাই না। কিন্তু এই অগ্নিগর্ভ অবস্থা যদি আর কয়েকদিন চলে, তবে রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া উপায় নেই। ২০২০ শুরুতেই বিদায় নিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।"


দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়,''যারা বিশৃঙ্খলা করছে তাদের ধরুন, অপরাধীদের চিহ্নিত করুন। সরকারকে আরও সক্রিয় হতে হবে। রাজনীতি করবেন না।''



মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই বার্তা দিয়েছেন,"গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করুন। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। পথ অবরোধ, রেল অবরোধ করবেন না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বরদাস্ত করা হবে না। যাঁরা গন্ডগোল করছেন, রাস্তায় নেমে আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন, তাঁদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। বাসে আগুন লাগিয়ে, ট্রেনে পাথর ছুড়ে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"


আরও পড়ুন- হিংসা ছেড়ে মমতার নেতৃত্বে আন্দোলনে ভরসা রাখার আহ্বান বুদ্ধিজীবীদের