সংবিধানের শপথ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, আইন মেনে চলাই কাম্য: রাজ্যপাল
মুখ্যসচিব ও ডিজি-র কাছে পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়েছেন রাজ্যপাল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিলেন না। অথচ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় তাঁর ভূমিকার সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর মতে, সংবিধানের শপথ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। সংবিধান মেনে চলবেন এটাই কাম্য।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না বলে আরও একবার স্পষ্ট করেন ধনখড়। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন,''দেশের নাগরিকদের প্রভাবিত করবে না নাগরকিত্ব সংশোধনী আইন। মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। দেশের ঐতিহ্য মেনে সর্বস্ব হারানো মানুষকদের আশ্রয় দিতে চলেছে ভারত। অত্যাচারিতদের এই দেশই শেষ আশ্রয়স্থল। এটা কোনওভাবেই ভারতীয় নাগরিকদের স্বার্থে আঘাত করছে না।''
মুখ্যসচিব ও ডিজি-র কাছে পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়েছেন রাজ্যপাল। একইসঙ্গে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতে যেতে চান। জগদীপ ধনখড় বলেন,''গোটা রাজ্যে অশান্তি হয়েছে। বিশেষ করে মালদহ, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতির ব্যাপারে জেনেছি। ডিজি-কে বলেছি, আমি ওই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যেতে চাই। তবে সরকারকে জানিয়েই যাব।'' হিংসা থামাতে রাজ্যের বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষিত সমাজকে এগিয়ে আসার বার্তাও দেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়,''হিংসা থামাতে আবেদন করুন সেলেব্রিটিরা।''
আইনের ভুল-ত্রুটি না খুঁজে প্রশাসনকে কাজে নামতে হবে বলেও মনে করেন রাজ্যপাল। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিরোধী আন্দোলনকেও ভালো চোখে দেখছেন না ধনখড়। তাঁর অভিমত, সংবিধানের আইন মানতে বাধ্য নির্বাচিত সরকার। সংবিধানের শপথ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। সংবিধান মেনে চলবেন, এটাই কাম্য। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংবিধানেরই অংশ।
আরও পড়ুন- মুর্শিদাবাদ, মালদহে হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর, সেখানে যান বিমান-সূর্যরা: দিলীপ