মুর্শিদাবাদ, মালদহে হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর, সেখানে যান বিমান-সূর্যরা: দিলীপ
রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তৃণমূল সরকার ব্যর্থ বলেও আকার-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় তাণ্ডবলীলার রিপোর্ট রাজ্যপালের কাছে জমা দিল রাজ্য বিজেপি। একইসঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জগদীপ ধনখড়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন দিলীপ ঘোষরা। রাজভবনের বাইরে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন,''তাণ্ডব চলছে। জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে। সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুলিশ কী করছে? আমরা রাজ্যপালকে সবটা বলেছি।'' একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ, মালদহে হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙা হয়েছে। হোটেল লুঠ করেছে দুষ্কৃতীরা।
রবিবার সন্ধেয় রাজভবনে যান দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসুর। সেখানে রাজ্যপালকে গোটা পরিস্থিতি অবগত করান বিজেপি নেতারা। বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের দিলীপ ঘোষ বলেন,''বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিস নীরব দর্শক হয়ে দেখছে। রাজ্যপালকে বলেছি, আপনি সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করুন। উপদ্রুত এলাকায় যান। কেন্দ্রীয় সরকারেও সম্পূর্ণ রিপোর্ট দিয়েছি। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলায়।''
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় মুখ্যমন্ত্রী বিজ্ঞাপন দিয়েছেন বলে অভিযোগ বিজেপির। সেটাও রাজ্যপাল জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী সংবিধানের বিরুদ্ধে কি করে যেতে পারেন? প্রশাসনিক বৈঠকে আইপিএস, আইএএস অফিসারদের পাশে নিয়ে সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি টাকায় বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন কীভাবে?
সিপিএম নেতাদের কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, মালদহ ও মুর্শিদাবাদে হিন্দুরা মার খাচ্ছে, বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, লুঠ করা হয়েছে হোটেল। বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন অনেকে। তাঁদের কাছে যান বিমান-সূর্যবাবুরা।
রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তৃণমূল সরকার ব্যর্থ বলেও আকার-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি বলেছেন,''আমাদের ভূমিকা হওয়া উচিত একমুখী। দেশের স্বার্থই এখন অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলার প্রতি একটা দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু বিপজ্জনক খেলা চলছে। সরকারের সবরকম পদক্ষেপ করা উচিত। আমি বিস্মিত, তারা চেষ্টা করছে, রাজনৈতিক ফায়দা তোলার। তাঁদের আবেদন করছি, অন্তরাত্মার ডাকে সাড়া দিয়ে সংবিধানের শপথ মাথায় রেখে ব্যবস্থা নিন।''
সোমবার সকাল ১০টায় রাজ্য পুলিসের ডিজি ও মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজভবনে। তাঁদের কাছ থেকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানবেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন- দুষ্কৃতীদের লাগামছাড়া তাণ্ডবে রেলের ১০০ কোটির বেশি সম্পত্তির ক্ষতি!