নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় কোথাও জ্বলছে ট্রেন, কোথাও আগুন লাগানো হয়েছে বাসে, কোথাও আবার ভাঙচুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে ভরসা রাখার আবেদন করলেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা। জয় গোস্বামী বলেন,''মমতার নেতৃত্বে আন্দোলন জারি থাকবে। বিজেপি সরকারের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করছি।'' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন আবুল বাশার।  এদিন প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন,''অটোতে করে আসছি। অটোচালক বলছে, ভাই কী হবে? আজকেরই ঘটনা। আমাদের কী চলে যেতে হবেয আমরা কোথায় যাব? বিপন্নতা তৈরি করেছে সরকার। এর প্রতিবাদ করছি।''  


কবি সুবোধ সরকারের কথায়,''৬ জন মুখ্যমন্ত্রী না বলেছেন।  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলায় এনআরসি হতে দেবেন না। বাংলা থেকে  অধিকাররক্ষার বিশ্বাস ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশে।'' 


চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্নর কথায়,''মানুষ সত্যিই হতাশায় ভুগছেন। তাঁর বিপরীতে কিছু মানুষ হয়তো ধ্বংসলীলার মধ্যে দিয়ে প্রকৃত আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা করছেন।''  



মুখ্যমন্ত্রীর উপরে ভরসা রাখার আবেদন জানিয়ে জয় গোস্বামী বলেন, আমাদের প্রতিবাদ সুশৃঙ্খল হওয়া দরকার। শান্ত ও দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদ পরিচালিত হয়। বাংলায় এমন একজন পথপ্রদর্শক আছেন। তিনি উশৃঙ্খল হতে দেবেন না। মমতার নেতৃত্বে আন্দোলন জারি থাকবে। বিজেপি সরকারের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করছি। বাংলার মানুষ বিভ্রান্ত হবেন না। বিদ্বেষের বিষ ছড়াবেন না। এটাকে আমরা একত্র হয়ে প্রতিরোধ করতে পারব।''


শান্তি বজায় রাখার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে দিয়েছেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও।     


মমতার বার্তা, সকল রাজ্যবাসীর কাছে আমি আবার অনুরোধ করছি, কোনওভাবেই কোনওরকম হিংসাত্মক কাজকর্মে লিপ্ত হবেন না। রাজ্যজুড়ে সম্প্রীতি ও শান্তি বজায় রাখুন। মনে রাখবেন পুলিশ থানা, রেল স্টেশন, বিমানবন্দর, পোস্ট অফিস, সরকারী দফতর, পরিবহণব্যবস্থা - সব কিছুই জনগণের সম্পত্তি। সরকারি ও বেসরকারি,  যে কোনও ধরনের সম্পত্তির কোনওরকম ক্ষতি হলে তা রাজ্য সরকার কোনওমতেই বরদাস্ত করবে না। আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।


আরও পড়ুুন- কিছু রাজনৈতিক দল সম্প্রীতি নষ্ট করতে অশান্তি ও দাঙ্গার চেষ্টা করছে: মমতা