নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় মমতাকে পাশে পেতে চিঠি দিলেন বামশাসিত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় প্রস্তাব পাস হয়েছে কেরল বিধানসভায়। সেই পথ অনুসরণ করতে মমতাকে আহ্বান করেছেন বিজয়ন। বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে একই দাবি করেছিল ১৭টি বাম দলের জোট। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১১টি অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন পিনারাই বিজয়ন। চিঠি তিনি লিখেছেন,''গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করাই সময়ের দাবি। পারস্পরিক মতানৈক্য সরিয়ে সমাজের বিভিন্নস্তরের মানুষকে এক হতে হবে গণতন্ত্র বাঁচাতে। আমরা নিশ্চিত, দেশের বৈচিত্র্যর মধ্যে ঐক্য আরও শক্তিশালী হবে। এনআরসি-এর আশঙ্কায় এনপিআর সংক্রান্ত সমস্ত কাজ রাজ্যে স্থগিত করে দিয়েছে কেরল সরকার।''


৩১ ডিসেম্বর কেরলের বিধানসভায় সর্বসম্মতিভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় প্রস্তাব পাস হয়েছে। সে কথা উল্লেখ করে পশ্চিমবঙ্গকে একই পদক্ষেপ করার আহ্বান করেছেন পিনারাই বিজয়ন। 



বৃহস্পতিবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিবৃতি জারি করে জানান, 'কেরলে বাম-গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকারের পক্ষ থেকে সে রাজ্যে CAA প্রয়োগ করা হবে না বলে আগেই জানানো হয়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর কেরল বিধানসভায় আইনটি বাতিলের জন্য সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস হয়েছে। ১৭ দলের পক্ষ থেকে কেরলের জনগণকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও এই ধরণের প্রস্তাব পেশ করার দাবি করছি'।


কেরল বিধানসভায় প্রস্তাব পাসের পর কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন,''নাগরিকত্ব নিয়ে আইনের পাসের ক্ষমতা রয়েছে কেবল সংসদের,  কেরল-সহ ও অন্যান্য রাজ্যের নয়। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকে আরও একবার বলব, ঠিকঠাক আইনি পরামর্শ নিন।''                  


নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় জাতীয়মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনও শিলিগুড়ি থেকে বিজেপিকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পাল্টা রাজস্থান থেকে তোপ দেগেছেন অমিত শাহ। এহেন প্রেক্ষাপটে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের প্রস্তাব বিধানসভায় কি পেশ করবেন মমতা? জল্পনা তুঙ্গে। মমতা দাবি না মানলেও বিরোধিতার সুযোগ রয়েছে বামেদের। তারা অভিযোগ করতে পারে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মুখেই প্রচার করছেন মমতা। তবে এটাও ঠিক, রাজ্যে বিরোধী হলেও জাতীয়স্তরে CAA বিরোধিতায় তৃণমূলকে নিয়ে ছুৎমার্গ নেই বামেদের, তার আভাস মিলল বিজয়নের চিঠিতে। এর আগেও মোদী বিরোধিতায় একসঙ্গে দেখা গিয়েছে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে।   


আরও পড়ুন- বাঙালি হিন্দু-নমশূদ্ররা আপনার কী ক্ষতি করেছে দিদি? শুধু ভোটব্যাঙ্ক দেখছেন: শাহ