অঞ্জন রায়: অশান্তি ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আন্দোলনে ভরসা রাখার আহ্বান করেছেন জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকাররা। তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তাঁর কটাক্ষ, কে বুদ্ধিজীবী? তৃণমূল পয়সা খাওয়া বুদ্ধিজীবীরা কী বলছে তার কী গুরুত্ব? 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের একাধিক এলাকায় বিক্ষোভ চরম আকার নিয়েছে। মুর্শিদাবাদের লালাগোলা স্টেশনে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন। কৃষ্ণপুরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ৪টি ট্রেন। হাওড়ার একের পর এক বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এহেন পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বার্তা দিয়েছেন বুদ্ধিজীবীরা। প্রেস ক্লাবে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন আবুল বাশার, জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার ও শুভাপ্রসন্নরা। বুদ্ধিজীবীরা একপেশে বলে মন্তব্য করলেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। তাঁর কথায়,''এরা একপেশে বুদ্ধিজীবী, এরা আসলে আল্লাহজীবি। এদের কেউ পাত্তা দেয় না। সিপিএম আমলে এরা সিপিএম , টিএমসি আমলে টিএমসি, আবার বিজেপি আসলে বিজেপির পেছনে ঘুরে বেড়াবে। এদের কথায় আর কোনও দাম দেন না বাংলা মানুষ।''


মুখ্যমন্ত্রীর উপরে ভরসা রাখার আবেদন জানিয়ে জয় গোস্বামী বলেন,''আমাদের প্রতিবাদ সুশৃঙ্খল হওয়া দরকার। শান্ত ও দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদ পরিচালিত হয়। বাংলায় এমন একজন পথপ্রদর্শক আছেন। তিনি উশৃঙ্খল হতে দেবেন না। মমতার নেতৃত্বে আন্দোলন জারি থাকবে। বিজেপি সরকারের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করছি। বাংলার মানুষ বিভ্রান্ত হবেন না। বিদ্বেষের বিষ ছড়াবেন না। এটাকে আমরা একত্র হয়ে প্রতিরোধ করতে পারব।'' চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্নর কথায়,''মানুষ সত্যিই হতাশায় ভুগছেন। তাঁর বিপরীতে কিছু মানুষ হয়তো ধ্বংসলীলার মধ্যে দিয়ে প্রকৃত আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা করছেন।'' কবি সুবোধ সরকারের বলেন,''৬ জন মুখ্যমন্ত্রী না বলেছেন।  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলায় এনআরসি হতে দেবেন না। বাংলা থেকে  অধিকাররক্ষার বিশ্বাস ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশে।'' 



এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শান্তি রাখার বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথায়,''সকল রাজ্যবাসীর কাছে আমি আবার অনুরোধ করছি, কোনওভাবেই কোনওরকম হিংসাত্মক কাজকর্মে লিপ্ত হবেন না। রাজ্যজুড়ে সম্প্রীতি ও শান্তি বজায় রাখুন। মনে রাখবেন পুলিশ থানা, রেল স্টেশন, বিমানবন্দর, পোস্ট অফিস, সরকারী দফতর, পরিবহণব্যবস্থা - সব কিছুই জনগণের সম্পত্তি। সরকারি ও বেসরকারি,  যে কোনও ধরনের সম্পত্তির কোনওরকম ক্ষতি হলে তা রাজ্য সরকার কোনওমতেই বরদাস্ত করবে না। আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।''


আরও পড়ুুন- কিছু রাজনৈতিক দল সম্প্রীতি নষ্ট করতে অশান্তি ও দাঙ্গার চেষ্টা করছে: মমতা