দুষ্কৃতীদের লাগামছাড়া তাণ্ডবে রেলের ১০০ কোটির বেশি সম্পত্তির ক্ষতি!
হচ্ছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় প্রতিবাদ। কিন্তু সেই বিক্ষোভই পরিণত হল লাগামছাড়া তাণ্ডবলীলায়।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় নেমে রেলকে তাক করেছে বিক্ষোভকারীরা। দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে ১০০ কোটি টাকারও ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক হিসাব বিশেষজ্ঞদের। হাওড়া-খড়গপুর শাখায় বিভিন্ন স্টেশনে ভাঙচুর জেরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৩ কোটি টাকা।
হচ্ছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় প্রতিবাদ। কিন্তু সেই বিক্ষোভই পরিণত হল লাগামছাড়া তাণ্ডবলীলায়। ট্রেন ও রেলস্টেশনে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ২ দিনের তাণ্ডবে জেরে রেলের সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে প্রায় ১৩ কোটি টাকার। হিসেবটা শুধু হাওড়া ও খড়গপুর শাখার বিভিন্ন স্টেশনের ধ্বংসলীলার। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের চেয়ে পূর্ব রেলের ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। কারণ, সেখানে শুধু স্টেশনে ভাঙচুর করা বা আগুনেই থেমে থাকেনি বিক্ষোভকারীরা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে আস্ত ট্রেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটির কাছাকাছি।
রেলের সম্পত্তি মানে দেশের আম নাগরিকের। সাধারণ মানুষের করের টাকায় চলে ভারতীয় রেল। বিপুল পরিমাণ ক্ষতি তো আসলে দেশের করদাতাদের। বিক্ষোভের নামে দেশের সম্পত্তি ধ্বংস কতটা যুক্তিযুক্ত? উঠছে প্রশ্ন।
শুক্রবার সাঁকরাইল স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। মুর্শিদাবাদের লালগড় স্টেশনেও চলে ভাঙচুর। শনিবার লালগড় স্টেশনে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। অনতিদূরে কৃষ্ণপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ৪টি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এর পাশাপাশি একাধিক স্টেশনে চলেছে তাণ্ডব। কোথাও আবার রেল লাইন উপড়ে ফেলেও দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের। বেশ কয়েক জায়গায় চালক ও যাত্রীদের আহত হওয়ার খবরও মিলেছে। তাণ্ডবের জেরে ইতিমধ্যেই একাধিক লাইনে বাতিল হয়েছে দূরপাল্লা ও লোকাল ট্রেন। তার জের সংকটে পড়েছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন- মানুষের করের টাকায় দেশের আইনবিরোধী বিজ্ঞাপন দেবেন না মুখ্যমন্ত্রী: রাজ্যপাল