নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যবোধ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীকে সমালোচনা করে টুইট করলেন। পরক্ষণেই রাজ্যপালের টুইটের পাল্টা জবাবও এল। ধনখড় বাড়াবাড়ি করছেন। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তোপ দাগলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। বিশেষজ্ঞদের একাংশও  বলছেন, কর্তব্য পালন করছেন না রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার সংবিধান দিবসে বিধানসভা চত্বরে দেখা যায় নজিরবিহীন ঘটনা। সংবিধান প্রণয়নের ৭০ বছর পূর্তির দিনে বিধানসভায় উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেও যেন দেখলেন না রাজ্যপাল।  রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী কোনও বাক্যালাপও হয়নি কাল। এরপর বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে উঠেও রাজ্যকে বেঁধেন ধনখড়। বলেন, রাজ্যে দমবন্ধকর পরিস্থিতি। তাঁকে চ্যালেঞ্জের মুখে কাজ করতে হচ্ছে। রাতে যেখানে শেষ করেছিলেন, এরপর আজ সকালে  ঠিক সেখান থেকেই যেন শুরু করলেন ধনখড়। একের পর এক টুইট করলেন। প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রীর  সৌজন্যবোধ নিয়ে।


টুইটে ধনখড় লেখেন, "আমার সবচেয়ে অদ্ভূত লাগল, যখন আমি বিধানসভায় গেলাম, মুখ্যমন্ত্রী উদাসীন রইলেন। আমি যখন বি আর আম্বেদরের মূর্তিতে মালা দিতে যাচ্ছিলাম,তখনও বিধানসভার নেতা হিসাবে এগিয়ে আসেননি মুখ্যমন্ত্রী। আমি এটা আশা করিনি। আমি সবার সঙ্গে কথা বলেছি, যাঁরা সৌজন্য দেখাতে এগিয়ে আসেন। আমি কখনওই কাউকে সৌজন্য দেখাতে কুণ্ঠাবোধ করি না। বিশেষত মুখ্যমন্ত্রী, যাঁর প্রতি আমার ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা অগাধ। আমি স্তম্ভিত  হয়ে গেলাম, মুখ্যমন্ত্রী পুরোপুরি উদাসীন রইলেন।"


রাজ্যপালের এই টুইটের পরই আসরে নামেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। বিধানসভার অধিবেশনে দাঁড়িয়েই নাম না করে ধনখড়কে বিঁধলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "সংবিধানের সত্তর বছর পূর্তির পরও আমাদের ব্যবহার জমিদারের মত। লাটসাহেবের মত। সংবিধান এই অধিকার কি তাঁকে দিয়েছে? নির্বাচিত সরকারি প্রধানকে হেয় করা কি সাংবিধানিক?"


আরও পড়ুন, রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য চেয়ার ফাঁকা রেখে অনুষ্ঠান সারলেন রাজ্যপাল


পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "রাজ্যপাল কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতে পারেন না। এখানে দেখলাম প্রধানমন্ত্রীর নাম নেওয়া হল,কিন্তু রাজ্যের সম্পর্কে বলা হল না। এটা রাজ্যপালের পদকে কলঙ্কিত করা।" প্রশ্ন তুললেন আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বলেন, "যেভাবে  কাল রাজ্যপাল বলেছেন তারপর টুইট করেছেন, বোঝাই যাচ্ছে যে কে কার সঙ্গে  কী ব্যবহার করেছে! এই প্রশ্ন তো উঠতেই পারে আজকের দিনে তাঁর পদের প্রয়োজনীয়তা আছে কি নেই?" মন্ত্রীরা দাবি করেছেন, সাংবিধানিক পদের মর্যাদা রক্ষা করতে পারছেন না রাজ্যপাল। কোথাও কোথাও নিরপেক্ষতাও লঙ্ঘিত হচ্ছে।  বিশেষজ্ঞদের অনেকেও মনে করছেন ,বাড়াবাড়ি করছেন রাজ্যপাল।