যাদবপুরে বাঙালি হিন্দু অস্তিত্ব রক্ষা মঞ্চের অনুষ্ঠানকে ঘিরে ধুন্ধুমার
শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে এই অনুষ্ঠানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বাঙালি হিন্দু অস্তিত্ব রক্ষা মঞ্চের অভিযোগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই এই হামলা চালিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : যাদবপুরে বাঙালি হিন্দু অস্তিত্ব রক্ষা মঞ্চের অনুষ্ঠানকে ঘিরে ধুন্ধুমার। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই জমায়েতে বেশ কয়েকজন বাইরে থেকে এসে পড়লে দু'পক্ষের মধ্যে ধুন্ধুমার বেধে যায়। লাঠি, ঝাঁটা নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন সদস্যকে। সেই সময় পুলিস থাকলেও, তাঁরা নীরব দর্শকের ভূমিকাতেই ছিল বলে অভিযোগ।
শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে এই অনুষ্ঠানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বাঙালি হিন্দু অস্তিত্ব রক্ষা মঞ্চের অভিযোগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই এই হামলা চালিয়েছে। দ্বিতীয় পক্ষের দাবি যদিও লেনিন, পেরিয়ারের মূর্তি ভাঙায় শঙ্কিত তাঁরা। তাঁদের দাবি মূর্তি ভাঙার সংস্কৃতিরই প্রতিবাদ করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- দুগ্ধাভিষেক ঘিরে ধুন্ধুমার, কেওড়াতলা মহাশ্মশানে বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষ
বৃহস্পতিবার, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তির 'দুগ্ধাভিষেক' কর্মসূচিকে ঘিরে ধুন্ধুমার বেধে যায় কেওড়াতলা মহাশ্মশান চত্বরে। বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। বিজেপির দাবি, হামলার জেরে আহত হয়েছেন বেশ কয়েজন দলীয় কর্মী। অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে পাল্টা দাবি, মূর্তি নিয়ে রাজনীতি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। একইসঙ্গে আরও দাবি, কেওড়াতলা মহাশ্মশানে বহিরাগতদের নিয়ে এসে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করে বিজেপি।
বুধবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিতে কালি লাগিয়ে দেয় কয়েকজন যুবক। একইসঙ্গে ভেঙে দেওয়া হয় মূর্তির চোখ, নাকও। তারপরই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ঘোষণা করেন, বৃহস্পতিবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তির দুগ্ধাভিষেক করা হবে। কারণ, 'দেশদ্রোহীদের অপবিত্র স্পর্শ' লেগেছে তাঁর মূর্তিতে।