Mamata Banerjee: সুরুচি সংঘের পুজোর উদ্বোধনে ঢাক বাজালেন মমতা

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর উদ্বোধনে ভিন্ন মুডে মুখ্যমন্ত্রী। নিউ আলিপুরের সুরুচি সংঘে ঢাক বাজালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। কাঁসরে সঙ্গত করলেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

দেবী দুর্গার আবাহনের প্রহর গুনছে রাজ্যবাসী। বাংলায় এখন উৎসবের আমেজ। কলকাতা ও জেলা মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত কয়েকশো পুজোর উদ্বোধন করে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবছরের মতো এবারও মহালয়ার দিনে চেতলা অগ্রণীতে মায়ের চক্ষুদান করেছেন তিনি। এদিন তৃতীয়াতেও শহরের একাধিক পুজোর উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, সুরুচি সংঘের পুজোর মণ্ডপে ঢোকেন ঢাক কাঁধে নিয়ে! এরপর প্রতিমার সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ ঢাক বাজান মুখ্যমন্ত্রী।

পরবর্তী গন্তব্য ছিল ভবানীপুর। নিজের নির্বাচনী এলাকায় পর পর বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করেন মমতা।

পুজো উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী
----
২৪ পল্লী
২২ পল্লী
বকুলবাগান
প্রিয়নাথ মল্লিক রোড
অবসর, ভবানীপুর
গোলমাঠ
বাটামক্লাব,বেলতলা
পদ্মপুকুর
চক্রবেড়িয়া
ভবানীপুর ৭৫ পল্লী
ভবানীপুর ৭৬ পল্লী
স্বাধীন সংঘ

এর আগে, দ্বিতীয়াতেও একডালিয়া এভারগ্রিন, বালিগঞ্জ কালচারাল, সমাজসেবী-সহ দক্ষিণ কলকাতার একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজের তালিকায় স্থান পেয়েছে বাঙালির শারদোৎসব। হিন্দুস্তান পার্কে পুজোর উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'হেরিটেজ তকমা পেয়ে আমরা গর্বিত। আমরা  বলতাম বিশ্ববাংলা, অনেকে হাসত, সত্যিই কি হবে? আমরা যখন বলতাম স্বপ্নের সকাল, অনেকেই ব্যঙ্গ করত। নেতিবাচক চিন্তা, নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের অনেকটা তলানিতে এনে পৌঁছে দিয়েছিল'। শিবমন্দিরের পুজোয় গিয়ে একটি স্টল থেকে কেনেন কেটলি ও হ্যারিকেন। 

পড়ুন- বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা

এদিকে পুজোর সময়ে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে জেলা ও রাজ্যের আধিকারিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পঞ্চমী থেকেই নবান্নে খোলা হবে কন্ট্রোলরুম। দুটি শিফটে কাজ করবেন কর্মীরা। কবে, কোন শিফটে কারা থাকবেন, সেই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। কন্ট্রোলরুম খোলা থাকবে কালিপুজো, ভাইফোঁটা, ছটপূজার দিনেও।