প্রবীর চক্রবর্তী: 'নিয়োগ করতে গেলেই কোর্টে মামলা হয়ে যাচ্ছে'। বিধানসভায় উষ্মা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'কোর্টেই সব টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে সরকারের। বিচার যেন মানুষের স্বার্থে হয়।  বিচারের বাণী যেন নীরবে-নিভৃতে না কাঁদে'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিধানসভা এখন শীতকালীন অধিবেশন চলছে। এদিন অধিবেশনে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। খাদ্য দফতরে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যখনই রাজ্য নতুন কোনও নিয়োগ কথা ভাবছে, তখনই কেউ না কেউ কোর্ট চলে যাচ্ছে। আদালত স্থগিতাদেশ দিচ্ছে, দিনের পর দিন মামলা চলছে। ফলে যে নিয়োগ ৩ মাসেই শেষ হতে পারত, তা হচ্ছে না'। সঙ্গে বার্তা, 'আমি একা খাব, কাউকে দেব না, সেটা হতে পারে না'।



এদিকে শিক্ষক নিয়োগে বেনামী আবেদন মামলায় সিবিআই তদন্তই বহাল রাখল হাইকোর্টে। শুধু তাই নয়, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ মেনে আদালতে হাজিরাও দিতে হবে শিক্ষাসচিবকে। বিচারপতির প্রশ্ন, 'সিঙ্গল বেঞ্চ মামলা শুনছে, অসুবিধা কোথায়? আদালত কি কোনও সচিবকে ডাকতে পারে না'?


আরও পড়ুন: TMC: রাজধানী এক্সপ্রেসে সোনা পাচার? গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ছেলে!


ঘটনাটি ঠিক কী? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্কুলে শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষায় অতিরিক্ত পদ তৈরি করেছে শিক্ষা দফতর। কাদের নিয়োগ করা হবে? শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, পরিবারের কথা ভেবে হাইকোর্টে তাঁদের পুর্নবহালের আবেদন জানায় এসএসসি। আদালতে ভর্ৎসনার মুখে যখন শেষপর্যন্ত সেই আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, 'কার নির্দেশে শূন্যপদে অবৈধ নিয়োগের জন্য আদালতে আবেদন করা হল'? সিবিআই তদন্ত নির্দেশ দেয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আলাদাভাবে মামলা করেছিল রাজ্য ও এসএসসি। 


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)