নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধায়কদের আধিপত্য কমাতে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা পরিষদের সদস্যদের ক্ষমতাবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন থেকে একা একা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না বিধায়করা। যেহেতু বিধানসভা এলাকার অনেকটা কাজই জেলা পরিষদ বা পঞ্চায়েতের কাজের মধ্যে পড়ে, তাই এবার থেকে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সদস্যদের সঙ্গে নিয়েই কাজ করতে হবে। সোমবার নবান্নে বৈঠকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা পরিষদের ৮০০ জন সদস্যকে নিয়ে  নবান্নে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনটি স্তরের প্রত্যেক সদস্যই যাতে ভালোভাবে কাজ করে, তার পাঠ পড়াতেই এদিনের বৈঠক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের ১৮ জন সদস্যের মধ্যে ১১ জন এলেও জেলা পরিষদের সভাধিপতি আসেননি। তাই জেলার সহ সভাধিপতিকে আলাদা নির্দেশ  দেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি সভা ঘরের বৈঠক হয়ে যাওয়ার পর ওই ১১ জন সদস্যকে নবান্নে ডেকে আলাদা করে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  কীভাবে কাজ করতে হবে সেই বিষয়ে নির্দেশ দেন তিনি।


ত্রিস্তর পঞ্চায়েত সদস্যদের ভাতা বৃদ্ধি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


উল্লেখ্য, বিভিন্ন নির্বাচনে টিকিট বিলি করার ক্ষেত্রে বিধায়করা সিদ্ধান্ত নিতেন। এবার থেকে সেটা আর  করা যাবে  না। এক্ষেত্রে বিধায়কদের জেলা পরিষদের সদস্যদের মতামত নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  বিধায়কের থেকে অনেক বেশি কাজ তৃণমূল স্তরে  করেন এই সদস্যরাই। তাই তাদের অধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।


এছাড়াও এদিনের বৈঠকে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত সদস্যদের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এক ধাক্কায় অনেকটাই তাঁদের ভাতাবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।