শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: রাজভবনের সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে গরহাজির থাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর চেয়ার ফাঁকা রেখেই সম্পন্ন হল অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি যে তাঁর ভালো লাগেনি, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। রাজভবন বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে, এক মাস আগে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। তার আগেই অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় জানিয়েছেন, কতগুলো দিবস আছে যেগুলো পালন করতেই হয়। কোনও কাজে আমি আটকে যেতেই পারেন।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন রাজভবনের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তবে যাননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর চেয়ার ফাঁকা রেখে শুরু হয় অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী তো বটেই, মন্ত্রিসভার সদস্যরাও রাজভবনে পা দেননি। রাজভবন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ততা থেকে কিছুটা সময় বের করে রাজভবনের সংবিধান দিবসে আসবেন। তাঁকে একমাস আগে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষে কার্যত রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য, সংবিধান সবার ওপরে। এর সঙ্গে রাজনীতি, পছন্দ, অপছন্দের যোগ না রাখাই শ্রেয়।



বিধানসভার অধিবেশনে না যাওয়ার কারণ ব্যক্ত করেছেন মমতা। বলেছেন, মমতা আরও বলেন,''ওনাকে তিনটি চিঠি দিয়েছি। গতকালও একটা চিঠি দিয়েছিলাম। একটা বিষয়ে আর কটা চিঠি দেব! কতগুলো দিবস আছে যেগুলো পালন করতেই হয়। প্রচারের জন্য উনি কি এসব করছেন?'' এদিন  রাজভবনের আগে বিধানসভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যপাল। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল শীতল সম্পর্কের সাক্ষী থেকে বিধানসভা চত্বর। জগদীপ ধনখড়কে অভ্যর্থনা জানাতে বিধানসভার দরজায় দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে সন্তর্পণে এড়িয়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর সঙ্গে কথা বলা তো দূর, তাকানওনি। পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''রাজ্যপাল ভাষণে কাশ্মীর নিয়ে বেশি বললেন। অথচ বাংলা নিয়ে কম। উনি ভোর ৫টা থেকে টুইট করতে থাকেন। ওনার অনুষ্ঠানে যাইনি বলে রাগ।''   


আরও পড়ুন- বিধানসভায় 'মোহরা' ছবির জনপ্রিয় গানের লাইন মুখ্যমন্ত্রীর গলায়, বাদ দিলেন স্পিকার