নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলায় উন্নয়নের স্বার্থে যখন ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কথা বলছে বিরোধীরা, তখন কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত অব্যাহত। আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে থাকছেন না মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। রাজ্যের তরফে বৈঠকে যোগ দেবেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে আবার ভোটের মুখে ৪৭ জন WBCS অফিসারকে বদলি করল নবান্ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথম থেকেই যোজনা কমিশন ভেঙে নীতি তৈরির বিরোধিতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানেও বলেছিলেন, 'যোজনা কমিশন রেখেও নীতি আয়োগ তৈরি করা যেত'।  নীতি আয়োগ তৈরি হওয়ার পর প্রতিবছর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।  কোভিডের কারণে গত বছর এই বৈঠক হয়নি। এক বছর পর ফের বৈঠক হচ্ছে শনিবার। তবে মুখোমুখি নয়, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদী। কিন্তু এবারও সেই বৈঠক যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, এর আগেও নীতি আয়োগের বৈঠক এড়িয়েছিলেন মমতা।


আরও পড়ুন: Exclusive:নেত্রী হিসাবে মমতা বড় কিন্তু প্রশাসক হিসাবে বিফল: Amit Shah


প্রসঙ্গত, একুশের ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। বাংলায় সরকার বিরোধী প্রচারের সুর সপ্তমে।  আগামী সোমবার ফের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। সেদিন হুগলিতে ডানলপ কারখানার মাঠে জনসভা এবং সেই জনসভা থেকে দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রোর শুভ সূচনা করবেন তিনি। এই প্রেক্ষাপটে নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যোগ না দেওয়া রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।


আরও পড়ুন: নিউ আলিপুরে কোকেন-সহ গ্রেফতার BJP নেত্রী


২৩ জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ২৮ বিডিও। ভোটের মুখে এদিন ৪৭ জন WBCS অফিসারকে বদলি করল রাজ্য। সূত্রের খবর, যাঁদের বদলি করা হয়েছে, তাঁরা একই জায়গায় প্রায় তিনবছর কর্মরত ছিলেন। তবে কেউ কেউ আবার দু'বছর পরেই বদলি হয়ে গেলেন। ভোটের জন্য নয়, বরং এটা রুটিন বদলি বলেই দাবি করা হয়েছে নবান্নের তরফে। উল্লেখ্য, ভোটে আগে একই জায়গায় তিন বছর বা তার বেশি সময় ধরে কর্মরত সরকারি আধিকারিকদের বদলির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।