জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেশে প্রচলিত বর্তমান ফৌজদারি আইন সংশোধন করে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা চালু করতে চাইছে কেন্দ্র। এর প্রতিবাদ আগেই করেছে রাজ্য সরকার। এবার সেই আইন কার্যকর না করার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ৩ আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দু'টি চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-NEET পরীক্ষায় দুর্নীতি ধরতে CBI? আজ চোখ সুপ্রিম কোর্টে!


কী সেই ৩ আইন? ওই তিনটি আইন হল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩, ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম ২০২৩ ও ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩।  সংশোধিত ওই  তিনটি আইন পাস হয়েছে সংসদে। আগামী ১ জুলাই থেকে আইন কার্যকর হতে চলেছে। তার আগে গতকাল নবান্নে এসেছিলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। তার পরদিনই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মমতা। ওই তিনটি আইনের বিরোধিতা করেছিল কংগ্রেস, তৃণমূল এবং ডিএমকে-সহ অন্য বিরোধী দলগুলো। আগামী সংসদ অধিবেশনে পুনর্বার আলোচনা করে আইন কার্যকর করার দাবি মমতার।


নতুন আইন সম্পর্কে পুলিস এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের অবগত করতে গত ১৬ জুন দেশের আইন মন্ত্রকের তরফে কলকাতায় একটি কনফারেন্স করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অভিযোগ করেছেন, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন হওয়া সত্ত্বেও কলকাতার এই কনফারেন্সে রাজ্য সরকারের কোন ভূমিকা ছিল না।


অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিমত, ওই তিনটি আইন ভারতের নীতির উপরেই শুধু প্রভাব ফেলবে না বরং তা ভারতের জনজীবনের উপরেও প্রভাব ফেলবে। আগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ছিল। তা প্রত্যাহারের নামে কেন্দ্রের সরকার প্রস্তাবিত ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় আরও কঠোর এবং স্বেচ্ছাচারী ব্যবস্থা কায়েম করতে চাইছে, যা মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত করতে পারে নাগরিকদের। স্বৈরাচারী মানসিকতা থেকে পাশ করানো হয়েছে ওই তিন আইন। ওই তিন আইন নতুন করে সংসদে পেশ করতে হবে। তাড়াহুড়ো করে ওই তিন আইন পাস করানো হয়েছিল। এবার ফের আলোচনা হলে আইনের অনেক ধারাতেই আপত্তি জানানো হবে।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)