Omicron: বিদেশ সফরের কোনও ইতিহাস নেই, ওমিক্রন আক্রান্ত কলকাতা মেডিক্য়ালের এক ইনটার্ন
দেশজুড়েই এখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওমিক্রন। গোটা দেশে এখন মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১৫ জন
নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতায় ফের মিলল ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ। এবার করোনার এই প্রজাতিতে আক্রান্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক ইনটার্ন। কোনও বিদেশ সফর ছাড়া ওই ভাইরাসে আক্রান্ত ওই জুনিয়ার চিকিত্সক। রাতেই তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। বিষয়টি মাথাব্যথার কারণ ছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। ফলে কলকাতায় করোনা আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্বাস্ত্য দফতর। কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজের যে ইনটার্নের ওমিক্রন ধরা পড়েছে গত বৃহস্পতিবার থেকে তাঁর জ্বর-সর্দি ছিল। গত ২০ ডিসেম্বর ওই ইনটার্ন তার কোভিড টেস্টা করান। তাতে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপরই তার নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। তাতে দেখা যায় তিনি ওমিক্রন আক্রান্ত।
ওমিক্রণের প্রজাতি মূলত এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও দেশ থেকে। গোটা বিশ্বেই এখন তা ছড়িয়েছে। ফলে বিদেশ থেকে যারা এসেছেন তাদের কোভিড টেস্টের ব্য়াপারে কড়াকড়ি করা শুরু করেছে অধিকাংশ রাজ্য সরকার। এনিয়ে প্রয়োজনবীয় নির্দেশিকা জারিও করেছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন-
এদিকে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ওই জুনিয়র চিকিত্সক থাকেন কলকাতাতেই। বাড়ি কৃষ্ণনগরে। সম্প্রতিক কালে তিনি বাইরে যাননি বা বিদেশ থেকে যারা এসেছেন তাদের সংস্পর্শ্বে আসেননি। ফলে একটা উদ্বেগ তৈরি হচ্ছেই।
দেশজুড়েই এখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওমিক্রন। গোটা দেশে এখন মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১৫ জন। চিকিত্সায় সুস্থ হয়েছেন ১১৫ জন। দিল্লিতেই আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯ জন। মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ১০৮ জন। দেশজুড়ে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ৭ হাজারে পৌঁছে গেল।
আরও পড়ুন-'পুলিস পিটিয়ে' বড়দিনের রাতে শহরে গ্রেফতার পাঁচ মদ্যপ
উল্লেখ্য, শুক্রবারপর্যন্ত রাজ্যে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫। এরমধ্যে ৩ জন এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর বাকি ২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কোভিড নেগেটিভ হওয়ার পর তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ডাবলিন ফেরত ২৭ বছরের এক যুবকের দেহে নতুন করে সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস বিমানবন্দরে তাঁকে কোভিড নেগেটিভ-ই পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু পরে তাঁর শরীরে ধরা পড়ে সংক্রমণ। জেনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষায় দেখা যায় যে, তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত। বর্তমানে তাঁকে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ২ জনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যদিকে আরও ২ জন ওমিক্রন সন্দেহভাজনের খোঁজ মিলেছে। বেলেঘাটা আইডি ও CNCI রাজারহাটে ভর্তি রয়েছেন তাঁরা।