নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্মাশিয়াল ট্যাক্স কর্তার রহস্যমৃত্যু। নিজের ঘর থেকেই উদ্ধার সুকৃতি রায়ের ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের অভিযোগ, স্ত্রীর মানসিক অত্যাচারেই আত্মঘাতী হয়েছেন সুকৃতিবাবু। পাল্টা শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ করছেন সুকৃতিবাবুর স্ত্রী। অভিযুক্ত চন্দনা রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উচ্চপদে চাকরি। মোটা টাকার মাইনে। সেটাই কী কাল হল সুকৃতি রায়ের? নিজের ঘর থেকেই উদ্ধার হল কমার্শিয়াল ট্যাক্সের জয়েন্ট কমিশনারের ঝুলন্ত দেহ। অভাব-অনটনের ছায়া পড়েনি এবাড়িতে। কিন্তু, শান্তি ছিল কই?


১২ বছর আগে চন্দনাকে বিয়ে করেন সুকৃতি রায়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে সেভাবে বনিবনা ছিল না। প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে কলহের কথা শুনতে পেতেন প্রতিবেশীরা। সুকৃতিবাবুর বাবার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই লাগাতার শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতেন স্ত্রী।


মঙ্গলবারও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সুকৃতিবাবু। ঘুমের ওষুধ খেলেও প্রাণে বেঁচে যান। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে ফের একইচেষ্টা।এবার আর ভুল হয়নি। বুধবার সন্ধেয় দরজা ভেঙে সুকৃতিবাবুর দেহ উদ্ধার করেন স্ত্রী ও তাঁর বাবা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।


শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পাল্টা মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ করেছেন চন্দনা রায়। তবে পাড়া প্রতিবেশীরা বলছেন চন্দনার চাহিদা ছিল আকাশছোঁয়া। তার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছিলেন না সুকৃতিবাবু। দু'জনের মধ্যে বাড়ছিল দূরত্ব। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সুকৃতিবাবু। রহস্যভেদ করতে স্ত্রীকে লাগাতার জেরা করছে পুলিস। সুকৃতিবাবুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।


আরও পড়ুন, ​ঋতব্রত মামলায় মুকুল রায়ের নাম জড়ালেন নম্রতা