নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতা কর্পোরেশনের (KMC) বারবার টিকা-নীতি বদল। টিকা গ্রহীতার মধ্যে চরম বিভ্রান্তি। অভিযোগ, সেজন্য দূর-দূরান্ত থেকে এসে ভোগান্তি স্বীকার সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন টিকাগ্রহণ কেন্দ্রে লম্বা লাইন। পুলিসের সঙ্গে টিকাগ্রহীতাদের বচসা। কার্যত হুলুস্থুল অবস্থা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অড-ইভেন নীতিতে টিকা দেওয়া শুরু করেছে কলকাতা কর্পোরেশন (KMC)। অভিযোগ, গত ছ'দিনের মধ্যে তিনবার সেই নীতি বদল করেছে কর্পোরেশন। ১৪ অগাস্ট বিজ্ঞপ্তি দিয়ে KMC-র তরফে জানান হয়, মঙ্গল-বৃহস্পতি-শনিবার দেওয়া হবে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ এবং সোম-বুধ-শুক্র দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ। এরপর ১৭ অগাস্ট দেওয়া হয় আরও একটি বিজ্ঞপ্তি। আগের নির্দেশিকা বাতিল করে সেখানে বলা হয়, সোম-মঙ্গল-বৃহস্পতি-শুক্রবার দেওয়া হবে প্রথম ডোজ এবং বুধ-শনি দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ। 


আরও পড়ুন: Post-Poll Violence: CBI-এর বিস্ফোরক রিপোর্ট, খুন-মহিলাদের উপর অপরাধে শীর্ষে বীরভূম!


দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তির ঠিক দু'দিন বাদে অর্থাৎ ১৯ অগাস্ট তৃতীয় বিজ্ঞপ্তি দেয় কলকাতা কর্পোরেশন (KMC)। সেখানে বলা হয়, প্রতিদিনই প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হবে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত দেওয়া হবে প্রথম ডোজ এবং দুপুর ৩টে থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ। ২৩ অগাস্ট থেকে কার্যকর হবে সেই নির্দেশিকা। অভিযোগ, বারবার বিজ্ঞপ্তি পরিবর্তনের ফলে বিভ্রান্ত হচ্ছেন টিকাগ্রাহকরা। সেজন্য দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শনিবার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা থাকলেও, বিভিন্ন টিকাগ্রহণ কেন্দ্রে এসে হাজির হয়েছেন প্রথম ডোজের টিকাগ্রাহকরাও।


আরও পড়ুন: Jago Bangla: 'জাগো বাংলা'য় লেখার জের, অনিল-কন্যা Ajanta Biswas-কে সাসপেন্ড করল CPIM


জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে কলকাতা কর্পোরেশেনর ১০২টি আরবান প্রাইমারি সেন্টার এবং ৫০টি মেগা সেন্টারে লম্বা লাইন। SSKM হাসপাতাল থেকে কালীঘাট ফায়ার ব্রিগেড লাগোয়া আরবান প্রাইমারি সেন্টার, সর্বত্র একই ছবি। দূরের জেলা থেকে এসেছেন টিকা গ্রহিতারা। কেউ লাইন দিয়েছেন শুক্রবার বিকেল থেকে, কেউ বা শনিবার ভোররাত থেকে। শনিবার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না জেনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই বিভ্রান্তির বিষয়ে কলকাতা কর্পোরেশনের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, নয়া বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হেলথ সেন্টারগুলোতেও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।