অভিষেকের ছবি দিয়ে মোদীকে আক্রমণ কংগ্রেসের, Mamata-কে জোটবার্তা?
সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন মমতা (Mamata Banerjee)। তার আগে কৌশলী বার্তা দিল কংগ্রেসও (Congress)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের মঞ্চ থেকে বিজেপি বিরোধী শক্তিশালী জোটের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ওই দিন দিল্লিতে তৃণমূলের কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। ফলে নেত্রীর বার্তা স্পষ্ট। সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। তার আগে কৌশলী বার্তা দিল কংগ্রেসও (Congress)। তাদের টুইটার হ্যান্ডলে অভিষেকের ছবি দিয়ে পেগাসাস-কাণ্ডে নিশানা করা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi)।
কংগ্রেস (Congress) টুইটারে লিখেছে,'শত্রুদের উপর নজর রাখতে হয়। এই প্রবাদকে একটু বেশিই গুরুত্ব দিয়ে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।' এর সঙ্গে #PegasusSnoopgate হ্যাশট্যাগে পোস্ট করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ছবি। তাতে 'আপ ক্রোনোলজি সমঝিয়ে'- শীর্ষক শিরোনামে লেখা হয়েছে, 'পেগাসাসে স্পাইওয়্যারের লক্ষ্য। কে? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। কখন? ২০২১। কেন? পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন। মোদী সরকারের নিরাপত্তাহীনতার অন্ত নেই।'
গত বিধানসভা ভোটে রাজ্যে বামেদের সঙ্গে জোট করে লড়াই করেছিল কংগ্রেস (Congress)। যদিও একদিনের জন্য প্রচারে এসেছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। করোনা পরিস্থিতির কারণে বাকি কয়েকটি সভা বাতিল করেন। সনিয়া এবং প্রিয়াঙ্কা আসেননি। তখনই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল,আগামী লোকসভা ভোটের আগে কি 'দিদি'কে চটাতে চাইছে না কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব? সেই জল্পনা আরও বাড়ে অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) সাম্প্রতিক ঘোষণায়। তিনি জানান, ভবানীপুরে প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটের ফলে প্রমাণিত, বাংলায় বামেদের আর শক্তি নেই। সুতরাং তৃণমূলের সঙ্গে জোট করলেই লাভ সনিয়া ও রাহুলের। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে তৃতীয় ফ্রন্ট যে সম্ভব নয় তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। মমতার ভোটকৌশলীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন গান্ধীরাও। প্রশান্তকে কংগ্রেসে পদ দেওয়া হতে পারে বলেও জল্পনা। ফলত ক্রমশ মসৃণ কংগ্রেস ও তৃণমূলের জোটের রাস্তা।
জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন,'টুইটার হ্যান্ডেলে ঠিকই বলা হয়েছে। ফোন ট্যাপিংয়ের মতো অন্যায়ের বিরোধিতা করছি। রাহুলের ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে অনেক দিন ধরেই। অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাদ পড়েননি। তার মধ্যে অভিষেকের নামও রয়েছে। এর তীব্র বিরোধিতা করছি। তদন্ত হওয়া দরকার।সংসদের ভিতরে ও বাইরে নানা ইস্যুতে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করেছি। আর রাজনীতির চেহারা কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছে, আগে থেকে কেউ হলফ করে বলতে পারে না। নতুন সমীকরণ কী হতে চলেছে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।'
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন,'শুভেন্দু অধিকারী ঢাকঢোল পিটিয়ে বলছেন অভিষেকের অফিস থেকে সমস্ত ফোনের কল রেকর্ডিং আছে তাঁর কাছে। তাঁকে ধরা হোক। বিজেপির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে যে দল, তার সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটাই টুইটে প্রতিফলিত হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, কে এবং কারা বাংলায় দাঁড়িয়ে বিজেপির মোকাবিলা করতে পারে।' তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন,'কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জানাই। তারা নিন্দা করেছে। এতে সম্পর্ক আরও ভালো হবে।'
কংগ্রেস ও তৃণমূলের সখ্যতাকে 'নীতিহীন' আখ্যা দিয়েছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর কথায়,'সঙ্গী বাছার মেরি গো রাউন্ড চলছে। ভোটের সময় সিপিএম সঙ্গী ছিল। এখন তৃণমূলকে সঙ্গী করছে। এই সঙ্গী বদলের রাজনীতি সাধারণ মানুষ মানবে না। এটা নীতিহীন রাজনীতি। সুবিধাবাদী রাজনীতি। দেশে কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা নেই। আর বাংলার বাইরে তৃণমূল অস্তিত্বহীন।'
আরও পড়ুন- 'দিদিকে বলো' ও 'দুয়ারে সরকার'-এ ৯৫% সমাধান, Mamata-র প্রশংসায় অমর্ত্যর ট্রাস্ট