নিজস্ব প্রতিবেদন: রাহুলের ‘আচ্ছে দিন’। তিনি কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার বর্ষপূর্তির দিনই তিন রাজ্যে ক্ষমতা দখল করল কংগ্রেস।  রাজস্থান, ছত্তিসগড়, মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়বে তারা। স্বাভাবিক কারণেই এই জয়ে খুশি রাজ্য কংগ্রেসের নেতারাও। ফল এতটাই আশানুরূপ হয়েছে যে কর্মিদের চাঙ্গা করতে একদিনের ডেডলাইনেই সভা ডেকে বসে প্রদেশ কংগ্রেস। রানি রাসমণি রোডের এই সভা থেকেই এবার একলা চলার ডাক দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- হাইকমান্ড চাইলে মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী হতে প্রস্তুত জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া


হাইকমান্ডের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই যোগাযোগ রাখুক ভোটের বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের কথাই শুনবে শীর্ষ নেতৃত্ব, আশাবাদী প্রদীপ ভট্টাচার্যের মতো নেতারা। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান-সহ দীপা দাশমুন্সিরাও মনে করেন রাজ্যে কংগ্রেসের একলা চলার ক্ষমতা আছে। তৃণমূল ত্যাগী প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রদেশ সভাপতি সেমেন মিত্রও এদিনের সভায় খুল্লামখুল্লা বলে দেন, তাঁরা একলা লড়াই করারই পক্ষে।


আরও পড়ুন- পাঁচ রাজ্যের ধাক্কায় বঙ্গে সভা বাতিল মোদীর, গড়াবে তো রথের চাকা?


ভিন রাজ্যের ফলে এদিনের রানি রাসমণি রোডের সভায় বেশ উজ্জীবিত দেখা গেল প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের। রাজস্থান, ছত্তিসগড়, মধ্যপ্রদেশে একলা লড়ে যে ফল কংগ্রেস করেছে, সেই ফল বাংলাও করতে পারে, এমনই দাবি করেছেন সোমেন-অধীর-মান্নানরা।  সমঝোতা তো দূর, অধীর রঞ্জন চৌধুরী তো তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি তোপই দেগে বসলেন। দিল্লিতে হাত ধরে বিজেপি বিরোধিতা করলেও রাজ্যে তাঁদের লড়াই যে শাসক দলের বিরুদ্ধেই তা আরও একবার পরিষ্কার করে দিলেন তিনি। বুধবারের সভা মঞ্চে দাঁড়িয়েই ‘সারদা-নারদা’র বিরুদ্ধে  লড়ার কথা জানিয়েছেন অধীর। একই সঙ্গে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করে তিনি বলেন, “দিদি, দিল্লি যাওয়ার আগে বাংলা সামলান। দিল্লির চেয়ার রাহুল গান্ধীর জন্য স্থির হয়ে গিয়েছে, সেখানে আর কাউর জায়গা হবে না।” একই সুরে তৃণমূলকে বেঁধেন বিধানসভায় কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক তথা মালদার বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীও।


আরও পড়ুন- হাইকোর্টের গুঁতোয় বিজেপির সঙ্গে রথযাত্রা বৈঠকে বাধ্য হল রাজ্য প্রশাসন


সভা শেষে সোমেন মিত্র জানান, তাঁরা এই রাজ্যে একক শক্তিতে লড়বেন। তাঁর সুরে সুর মিলিয়েছেন দীপা দাশমুন্সি, প্রদীপ ভট্টাচার্যের মতো নেতারাও।