নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিরোধীদের বার্তা ছিল, যে ডালে বসে আছেন, সেই ডাল কাটবেন না। ওরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে না। ওদের সমর্থন চাই না। আবার কিছুক্ষণ পরে মমতাকে এ-ও বলতে শোনা যায়, পাড়ায় ভাল বামপন্থী এবং কংগ্রেস কর্মী থাকলে দলে টানুন। মমতার এ হেন মন্তব্যে কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ওদের মধ্যে কে ভাল খুঁজে বার করতে হবে। দিদির কথায়, তৃণমূল তো কাটমানিতে রূপান্তরিত হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের চড়কায় তেল দিতে বলেন অধীর চৌধুরী। পাশাপাশি, তাঁর পরামর্শ, কংগ্রেসের জন্য চিন্তাভাবনা করতে হবে না। ভবিষ্যতে মমতাকেই কংগ্রেসের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, সিপিএম-এর হামার্দরাই এখন বিজেপির ওস্তাদ। নকল বিজেপি বলে কটাক্ষ মমতার।


আরও পড়ুন- একুশের সমাবেশের পথেই সন্তানের জন্ম দিলেন মা, নাম রাখলেন 'একুশি'


এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, এত দিন হার্মাদদের গ্রেফতার করেননি কেন তিনি? বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা থাকা দরকার। কিন্তু তাঁরই কোমর ভেঙে গেছে। চা-মাছ ভাজা খাইয়ে বিরোধীদের হাতে রাখার চেষ্টা করেছেন। পারেননি। এখন কেস দিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন। সিপিএম-র সুজন চক্রবর্তী তো সাফ জানিয়ে দেন, কাটমানির তৃণমূলের সঙ্গে তাঁরা হাত মেলাবে না। উল্লেখ্য, একুশে জুলাইয়ের আগে সিপিএম-কংগ্রেস-তৃণমূলের কাছাকাছি আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যকে বলতে শোনা যায়, গণপিটুনির মতো ঘটনা ঘটলে তৃণমূল নেতার পাশে দাঁড়িয়ে লড়তে রাজি। কংগ্রেসের গলায়ও নরম সুর শোনা যায়। বিজেপিকে রুখতে আদৌ এই তিন দল এক ছাতার তলায় আসবে কিনা এখন সময়ই বলবে।