রাজীব চক্রবর্তী: 'ইন্ডিয়া' জোটের দলগুলির আসন ভাগাভাগি নিয়ে আগে থেকেই সমস্যার একটা আশঙ্কা ছিল। এবার তা কি মাথাচাড়া দিয়ে উঠল? আসনরফা নিয়ে কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইট করে অভিষেকের দাবি, 'অসমের মতো জায়গায় NCHC-র ভোটে কংগ্রেসের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যাদের পা মাটিতে শক্ত নয় তারা তারা ধরতে চাইছে। বিষয়টা এমনই।' অভিষেকের ওই মন্তব্য নিয়ে জোট জটিলতা বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-প্রাণপ্রতিষ্ঠা হচ্ছে রামলালার, আমেরিকার ১০ প্রদেশে বসল ৪০টি বিশাল বিলবোর্ড


বাংলায় যখন তৃণমূল ও কংগ্রসের জোট হবে কিনা তানিয়ে জল্পনা চলছে তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই ট্যুইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  আজ ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ছিল সেই বৈঠকে যায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। ইন্ডিয়া জোটের কোঅর্ডিনেশন কমিটির সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ফলে তাঁর এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


সম্প্রতি নর্থ কাছাড় অটোনমাস হিল কাউন্সিলের ভোটের যে ফল বেরিয়েছে সেই ফল তুলে ধরেছেন অভিষেক। গতবারের থেকেও বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি।  মোট ৩০ আসনের মধ্যে ২৮ আসনে ভোট হয়। ২৫টিতেই জিতেছে বিজেপি। বাকী ৩টিতে জয়ী হয়েছে আম আদমি পার্টি। তবে কংগ্রেসের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বলা যেতে পারে কংগ্রেস প্রায় শূন্য হয়ে গিয়েছে। সেই ফলকে টেনে এনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলার চেষ্টা করেছেন, জোটের প্রশ্নে কংগ্রেস জোর করে অনেক কিছুই চাপিয়ে দিচ্ছে। অসমের ভোটের ফল দেখে বোঝা উচিত তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা আকাশের তারা ধরতে চাইছে। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, বাংলায় কংগ্রেসকে মাত্র ২টি আসন ছাড়তে চায় তৃণমূল। অন্যদিকে, কংগ্রেস আসনরফা শুরু করতে চায় ১০টি আসন দিয়ে। এই টানাপোড়েনের প্রভাব জোটে পড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।



অভিষেকের ওই ট্যুইট নিয়ে কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায় বলেন, এসব কথা বলা কোনও যুক্তি আছে? কোনও একটা রিমোর্ট কর্নারে একটা ভোট হয়েছে সেখানে হয়তো কংগ্রেস খারাপ ফল করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তো এখন রাষ্ট্রীয় মর্যাদাটাই নেই। উনি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আর লিখতে পারবেন না। এসব কথা উনি কী বলছেন? বাংলার কোনও পঞ্চায়েত তৃণমূলও আমাদের থেকে কম ভোট পায়। তাহলে কি আমি বলব বাংলা ৪২টি আসনমেই লড়বে কংগ্রেস? এসব বালখিল্যপনা কথাবার্তা না বলে উনি বরং নিজের দলটাকে সর্বভারতীয় করার উপরে জোর দিন। ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন পার্টি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গোয়াতেও ধাক্কা খেয়েছেন।


সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এনিয়ে বলেন, অভিষেকের ছলচাতুরি সবাই বুঝে গিয়েছে। আমার বক্তব্য, যেভাবে লোকসভার সিট বিন্যাস তার সঙ্গে অসমের কোনও একটা পাড়ায় ভোটে কী হয়েছে তার সঙ্গে তুলনা টানাটা রাজনৈতিক অপরিপক্কতার লক্ষণ।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)