-------------------------------------------------


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়েব ডেস্ক: যাদবপুরকাণ্ডে আন্দোলন নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল যুবা সবাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো লিখেছেন, 'মদ, গাঁজা, চরস বন্ধ। তাই কি প্রতিবাদের গন্ধ?' আজ যাদবপুরকাণ্ডে তৃণমূলের পাল্টা আন্দোলন। তার আগে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিতর্কিত মন্তব্য নতুন মাত্র পেল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।  এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন যাদবপুরের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীও। রবিবার তিনি বলেন, নেশা করতেও অনেকে যাদবপুরে আসে। বহিরাগতরাও ক্যাম্পাসে ঢোকে।


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিত্‍‍ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে হুমকি পোস্টার পড়ল। পোস্টারে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি, পোস্টারে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, নির্যাতিতা বিচার না পেলে ছাড় পাবেন না উপাচার্য। কিন্তু কে এই পোস্টার মারল? যাদবপুরের আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের দাবি, তাঁরা এই পোস্টার লাগাননি। তাঁদের আন্দোলন ভাঙতেই এই চক্রান্ত করা হয়েছে।  


যাদবপুর কাণ্ডে কিছুটা নমনীয় হল সরকার। ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। রবিবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে ছাত্রদের দাবি মত উপাচার্যের অপসারণ প্রশ্নে নীরব শিক্ষামন্ত্রী।


যাদবপুরে নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা শুক্রবার আশঙ্কা প্রকাশ করেন, মেয়ের শ্লীলতাহানির ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যেতে পারে। গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি।


এই ঘটনার দুদিন পর রবিবার যাদবপুরকাণ্ডের নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করে ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপর রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। রাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় যাদবপুরকাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য কমিটি গড়ার কথা ঘোষণা করেন।


শিক্ষা মহলের একাংশের ধারণা, যাদবপুরকাণ্ডে ব্যাপক আন্দোলনের জেরে তদন্ত কমিটি তৈরি করে কিছুটা নমনীয় হল রাজ্য। কারণ এই তদন্ত কমিটি নিয়েই দিন কয়েক আগেই ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীর গলায়।


রবিবার তদন্ত কমিটি ঘোষণা করে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নির্যাতিতার বাবা আর্জি জানানোয় কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু নির্যাতিতার বাবা তদন্তে গড়িমসির জন্য উপাচার্যকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, শ্লীলতাহানিকাণ্ডে প্রথমে অভিযোগই নিতে চাননি উপাচার্য। অভিজিত্ চক্রবর্তী উপাচার্য পদে থাকলে তাঁর মেয়ে সুবিচার পাবেন না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ছাত্ররাও পুলিস দিয়ে ঘেরাও তোলার প্রতিবাদে উপাচার্যের ইস্তফার দাবিতে অনড়। কিন্তু রবিবার উপাচার্য প্রশ্নে নীরবই থাকলেন শিক্ষামন্ত্রী।
নানা মহল থেকে উপাচার্য়ের অপসারণের দাবি উঠলেও কেন সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না, সে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়।