ওয়েব ডেস্ক : কোন চিকিত্‍সায় কত খরচ? কোন টেস্টের কত খরচ? এ বার থেকে এ সবই ঠিক করে দেবে সরকার। নতুন স্বাস্থ্য আইনে রয়েছে এই সংস্থান। নয়া আইনে চিন্তায় বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিত্‍সার নামে বেআইনি ব্যবসা। রোগী বাঁচল কী মরল জানার দরকার নেই। পরিবারের হাতে ধরানো হচ্ছে বিশাল অঙ্কের বিল। সাধারণ রক্ত পরীক্ষার খরচও এক হাসপাতালের চেয়ে আরেক হাসপাতালে বহুগুণ বেশি। কর্পোরেট হাসপাতালের এই অসুখের কড়া দাওয়াই দেওয়া হয়েছে নতুন স্বাস্থ্য বিলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বলা হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালে ইনডোর-আউটডোর দু'ক্ষেত্রেই চিকিত্‍সার খরচ ঠিক করে দেবে রেগুলেটরি কমিশন। এক এক হাসপাতালে এক এক রকম খরচ রুখতে চিকিত্‍সা পরিষেবার খরচ বেঁধে দেওয়া হবে। সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই খরচ বেঁধে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।তবে এর ফলে বেসরকারি চিকিত্‍সা পরিষেবায় নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা চিকিত্‍সকদের একাংশের।


আরও পড়ুন- চিকিত্‍সা ক্ষেত্রে রাজ্যে এল নতুন আইন; থাকছে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা


এই পরিস্থিতিতে নতুন স্বাস্থ্য বিল নিয়ে উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন। কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে চিকিত্‍সার খরচ বেঁধে দেবে কমিশন? জটিল অসুখের চিকিত্‍সায় সঠিক খরচ নির্ধারণ করা কি আদৌ সম্ভব? সরকার চিকিত্‍সার খরচ বেঁধে দিলে বেসরকারি হাসপাতাল পরিচালনা কি লাভজনক থাকবে? খরচ বেঁধে দিলে বেসরকারি চিকিত্‍সার মান পড়ে যাবে না তো? সরকার খরচ বেঁধে দিলে চিকিত্‍সায় উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার কমে যাবে না তো?


বেসরকারি হাসপাতালকে নজরে রাখতে নতুন কমিশনের কাজের ধরণ দেখেই এ সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে বলে মনে করছেন চিকিত্‍সকরা।