নিজস্ব প্রতিবেদন: এমন মৃত্যু কাম্য ছিল না। শেষ দেখাও দেখতে পাবে না মৃতের পরিবার। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় ভয়ে হাসপাতাল থেকেই নিয়ে গিয়ে দ্রুত সৎকার করা হবে দমদমের করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ। নিরাপত্তার খাতিরে মৃতদেহ দ্রুত সৎকারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, মৃতদেহ সৎকারে নিয়ে যাওয়াতেও রয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। সোমবার দুপুরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় করোনায় আক্রান্ত দমদমের বাসিন্দার। দলীয় বৈঠক চলাকালীনই মৃত্যুর খবর পান মমতা। তখনই তিনি পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মাকে মৃতদেহ দ্রুত সৎকারের নির্দেশ দেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: শুধুমাত্র করোনার চিকিৎসা হবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে, রোগীদের অন্যত্র সরানোর নির্দেশ


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মৃত রোগীর ফুসফুস থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। কাজেই পোস্টমর্টেম বা অটোপসি না করাই ভাল এমনটাই পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মর্গে এই ধরনের মৃতদেহ ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে তাপমাত্রায় রাখতে হবে অর্থাৎ পরিপূর্ণভাবে কোল্ড চেম্বারে এই ধরনের ভাইরাস আক্রান্ত মৃতদেহ সংরক্ষণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মৃত রোগীর যে ঘরে চিকিৎসা হচ্ছিল সেই ঘর এবং সেই ঘর থেকে যে দিকে তাকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সমগ্র ফ্লোর, সিলিং, দেওয়াল, বেড, ইকুইপমেন্টস ইউজ করা হয়ে ছিল তা বিশেষ সলিউশন এবং ফিউমিকেশন করতে অর্থাৎ জীবাণুমুক্ত ভাইরাস মুক্ত করতে হবে।


এরপর বিশেষ ধরনের ভাইরাস এবং জীবাণুরোধক ব্যাগের মধ্যে এই দেহকে ঢুকিয়ে ভাল করে বেঁধে নিতে হবে। যারা মৃতদেহ বহন করবেন বা মৃতদেহর  কাছে যাবেন তাদের বিশেষ ধরনের মাস্ক, হেলমেট, গায়ের পোশাক, পায়ের জুতো পরতে হবে। মৃতদেহ বহনকারী গাড়ি ফিউমিকেশন করা হবে। পরিজনদের যেতে দেওয়া হবে না মৃতদেহের কাছে। বডি ব্যাগ খুলে মৃতদেহের সঙ্গে থাকা ব্যক্তি মুখ দেখিয়ে দেবেন পরিবারকে, নির্দেশ এমনটাই। দেহ পোড়ানো বা কবর দেওয়ার পর যুক্তদের সম্পূর্ণ পরিষ্কার হতে হবে বিশেষ পদ্ধতিতে। তবে জানানো হয়েছে, সৎকারের শেষে চাইলে অস্থি ভষ্ম নিতে পারে মৃতের পরিবার।