নিজস্ব প্রতিবেদন: বড়বাজারই এখন বড় চিন্তার কারণ। বেলগাছিয়া, নারকেলডাঙা থেকে সরে গিয়ে করোনার থাবা গিয়ে পৌঁছেছে এশিয়ার বৃহত্তম বাজারে। রোখা যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণও। এই উদ্বেগেই ফুটে উঠল সোমবার  কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকে কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমের চোখে-মুখে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন ৪ নম্বর বোরোতে বৈঠক করেন ফিরহাদ। অতীন ঘোষ, দেবব্রত মজুমদার-সহ এলাকার কাউন্সিলরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। ফিরহাদ জানান, বড়বাজার এলাকায় বেশি করোনা সংক্রমণের সংখ্যা মিলছে কেন, তার কারণ এবং প্রতিরোধ করতে পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। কাউন্সিলরদের কাছ থেকে পরামর্শ চান তিনি। চেয়ারম্যান ফিরহাদ জানিয়েছেন, এবার অ্যাম্বুল্যান্স যাবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নমুনা সংগ্রহের জন্য।


কাউন্সিলরদের অভিযোগ, লকডাউন পুরোপুরি মানা হচ্ছে না। রাজাকাটরা, পোস্তায় বাজার খোলা। সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ মানা তো দূর মাস্ক পরছেন না অনেকে। ঘিঞ্জি বড়বাজার এলাকায় সংক্রমণ ছড়ানোর প্রবণতা বেশি। মনে করা হচ্ছে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা লরি-ট্রাকের চালকের মাধ্যমে সংক্রমণ আরও বেশি ছড়াচ্ছে। বড়বাজারে অনেক বাসিন্দার করোনা উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও চিকিত্সা করাচ্ছেন না। নিজেদেরকে লুকিয়ে রাখছেন। ববি হাকিম জানান, তাঁদেরকে সচেতন করে প্রচার চালানো হবে পুরসভার তরফ থেকে।


আরও পড়ুন- লকডাউনে মাংস কিনতে গিয়ে নদীতে দেহ দেখলেন ক্রেতারা, চাঞ্চল্য দত্তপুকুরে


উল্লেখ্য, উত্তর কলকাতার সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি ২৪ নম্বর ওয়ার্ড। প্রতিদিনই কনটেনমেন্ট জোন বর্ধিত করা হচ্ছে। গত ৮ মে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, বড়বাজার, জোড়াবাগান, পোস্তায় বেশি সংক্রমণ হচ্ছে। প্রথম করোনা থাবা বসিয়েছিল বেলগাছিয়া বস্তি, নারকেলডাঙায়। যেখানে পরিবারের সদস্যদের হাইড্রোক্সিক্লোকুইন এবং কোয়ারান্টিনে রাখায় সুফল মিলেছে। সেই মডেলই কাজে লাগিয়ে কনটেনমেন্ট জ়োনে সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টা করছে পুরসভা।