নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতায় করোনা আতঙ্কের হানা? ফেব্রুয়ারিতে জয়পুর থেকে ঘুরে আসা এক প্রৌঢ়ার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাঁকে জোকার ESI হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে সেখানেই চিকিত্সা হয় বছর বাষট্টির প্রৌঢ়ার। চিকিত্সকদের সন্দেহ, তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বেলেঘাটা আইডিতে রেফার করা হয়েছে। আপাতত সেখানেই তাঁর চিকিত্সা চলছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: কেরলে ৬; কর্ণাটকে ৩ জনের দেহে মিলল করোনাভাইরাস, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৫৭


ইতিমধ্যেই ভাইরাসের ভয়ে তটস্থ গোটা বিশ্ব। এর আগে নবগ্রামের পলাশপুর নারকেলবাড়ির বাসিন্দা জানারুল হক নামে এক ব্যক্তি সৌদি আরব থেকে গ্রামে ফিরে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কিনা দেখার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। চিকিৎসা চলাকালীন আজ বিকেলে মৃত্যু হয় জানারুলের। যদিও রিপোর্ট মিলতেই স্বস্তি মিলেছে। জানা গিয়েছে করোনায় তাঁর মৃত্যু হয়নি।


এখনও বেলেঘাটা আইডিতে ২ জন ভর্তি রয়েছে। সংক্রমণ সন্দেহে আইসোলেশনে চিকিত্সা চলছে তাঁদের। সৌদি থেকে দেশে ফিরেছেন মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকজন। রবিবার সকালেও সৌদি ফেরৎ এক ব্যক্তিতে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে করোনা সন্দেহে বেলেঘাটা আইডি ভর্তি করা হয়েছে। মিনারুল শেখ নামে ওই ব্যক্তিও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। সৌদি আরবে সাফাই কর্মীর কাজ করতেন তিনি। ফেরা মাত্রই বিমানবন্দরের থার্মাল স্ক্যানে ধরা পড়ে মিনারুলের জ্বর আছে। এরপরেই তাকে স্বাস্থ্য কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিমানবন্দর থেকে দ্রুত তাকে বেলেঘাটা আইডিতে আনা হয়। 


বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের অধ্যক্ষা অনিমা হালদার জানিয়েছেন, 'আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো কারণ ঘটেনি। আমাদের এখানে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন, প্রত্যেকে সুস্থ আছেন। আমাদের চিকিৎসক,নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের সবরকমের সচেতনতা,সতর্কতা গ্রহণ করার বার্তা দেওয়া আছে। এখানে প্রত্যেকে তাঁর কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন৷ চিকিৎসায় কোনও রকম কার্পণ্য হবে না। তবে মানুষ যেন সতর্ক,সচেতন থাকেন।'