নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা সংক্রমিত এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসে পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় দল। এনিয়ে অসন্তুষ্ট রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় দল আসার চিঠি পৌঁছনোর আগেই তারা এসে গিয়েছে বলে অভিযোগ রাজ্য সরকারের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-করোনায় তুঙ্গে অক্সিজেনের চাহিদা, লকডাউনের জেরে গোডাউনেই পড়ে সিলিন্ডার!


এনিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব সাংবাদিকদের বলেন, চিঠি পাঠানোর আগেই টিম পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। তারপর নমো নমো করে রাজ্যকে জানিয়েছে। বিএসএফ ও এসএসবি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে নিয়ে ঘুরছে। অথচ রাজ্য সরকারেরই লজিস্টিক দেওয়ার কথা। কিন্তু ওরা রাজ্যকে জানায়নি। আমি ওদের ডেকে পাঠিয়েছি। তারপরেই ওরা নবান্নে এসেছে।


কেন্দ্রের টিম সম্পর্কে মুখ্যসচিব আরও বলেন, এই টিম পাঠানোর কোন যুক্তি নেই। একটা টিম জলপাইগুড়িতে গেছে। দার্জিলিং কালিম্পং-এ এখন ভালো হয়ে গেছে। তবু ওখানে কেন টিম গেছে, কি মাপকাঠিতে গেছে জানি না। আমরা চিঠি পাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে ওরা রাজ্যে এসে গেছে। এখানে পৌঁছানোর পর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কেন্দ্র-রাজ্য কিভাবে কাজ করবে ন্যাশনাল ডিজাস্টার অ্যাক্ট-এ তা বলা আছে। বিএসএফ-এসএসবিকে নিয়ে মাঠে চলে যাচ্ছেন। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্রিফ নিয়ে যেতে পারতেন। এটা মেনে নিতে পারছি না। ওদের বলেছি আসুন, কথা বলুন, তারপর ফিরে যান।


এদিকে, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। উদ্বিগ্ন রাজ্যের মুখ্য সচিবের আবেদন, সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন, আপনারা দায়িত্বশীল হোন। দয়া করে বাড়িতে থাকুন। বাজারে অসম্ভব ভিড় হচ্ছে এবং তা আটকাতে একসঙ্গে বাজারে ৫ জন বা ১০ জনের বেশি ক্রেতাকে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন তারা। যেসব জায়গা হটস্পট সেখানে পুলিশ কে বললে পুলিশ খাবার পৌঁছে দেবে বাড়িতে। কিছুদিন আগে মিষ্টির দোকানের সময় বাড়ানো হয়েছিল। আজ মিষ্টির দোকানে মিষ্টি বিক্রি করার সময় কমিয়ে দেয়া হল। রাজ্যে এই মুহূর্তে লো ইন্সিডেন্ট এরিয়া হিসাবে নটা জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে একটাও করোনা কেস নেই। আগামিকাল থেকে এই নটা জেলায় rapid টেস্ট করানো হবে।


আরও পড়ুন-কমছে সংক্রমণের হার! দেশে অনেকটাই কমছে ডাবলিং রেট, জানিয়ে দিল কেন্দ্র


মুখ্য সচিব আজ আরও বলেন, রাজ্যের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অনেক মানুষই এখনো ইনডিসিপ্লিনড আচরণ করছেন। কোন না কোন কারণ দেখিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন। পুলিশ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না। মানুষকে আত্মসচেতন শৃঙ্খল এবং দায়িত্বশীল হতে হবে।