নিজস্ব  প্রতিবেদন: যে চিকিত্সকরা প্রাণ হাতে নিয়ে করোনা রোগীদের চিকিত্সা করে চলেছেন তাদেরই হেনস্থা। ফের পাড়া পড়শিদের হেনস্থার শিকার হলেন কলকাতা ট্রপিক্যাল মেডিসিনের এক চিতিত্সক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতা ট্রপিক্যাল মেডিসিনে তৃতীয় বর্ষে এমডি পাঠরত দিনহাটার ছেলে ডা স্বরাজদীপ বণিক। গত ৬ মাস ধরে তিনি রয়েছেন বেহালায় তাঁর পিসির বাড়িতে। দুর্ভাগ্যক্রমে বৃহস্পতিবার তিনি ও তাঁর পিসির বাড়ির একজন করোন পজিটিভ হয়ে পড়েন। এর পরেই সমস্যার শুরু।


আরও পড়ুন-টিভিতে রাম মন্দিরের ভূমিপুজো লাইভ দেখেছেন ১৬ কোটিরও বেশি মানুষ: প্রসার ভারতী


শনিবার স্বরাজদীপের পিসির বাড়ি স্য়ানিটাইডজ করতে আসেন পুরসভার লোকজন। তখনই বিভিন্ন রকম প্রশ্ন তোলেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের অভিযোগ, যে চিকিত্সক কোভিড হাসপাতালে চাকরি করেন তাঁকে কেন বাড়িতে থাকতে দেওয়া হয়েছে। ডাক্তারকে বাড়ি ছাড়তে হবে।


এনিয়ে ডা স্বরাজদীপ বলেন, গত চার মাস ধরে এই বাড়িতেই রয়েছি। পরশু দিন আমার কোভিড পজিটিভ এসেছে। এখন প্রতিবেশীদের এসব কথা শুনে খুব খারাপ লাগছে। ডাক্তার হয়েও এসব আমাকে শুনতে হচ্ছে।


আরও পড়ুন-দলে শাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন! বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী হয়েই বিতর্কে অগ্নিমিত্রা পাল


এই ঘটনায় অবাক চিকিত্সকমহলের একাংশ। স্বরাজদীপের অধ্যাপক ডা যোগীরাজ রায় বলেন, অমানবিক। যারা এসব বলছেন তাদের কারও প্রাণ হয়তো আমার এই ছাত্র বাঁচাবে। ও সৈনিক। এতে মনবল ভেঙে পড়লে চলবে না। যারা বাঁকা চোখে দেখছে তাদের বিরুদ্ধ সেরকম ব্যবস্থা নিতে হবে।


এনিয়ে ডা কুণাল সরকার বলেন, জোড়হাত করে বলছি, এই ধরনের অমানবিক কাজ থেকে বিরত থাকুন।


এদিকে, ওই ঘটনার পর প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ডা স্বরাজদীপ। ঠাকুরপুকুর থানা থেকে তাঁকে এনিয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন তাঁর পাশে থাকবে।