নিজস্ব প্রতিবেদন: সংখ্যাটা আতঙ্ক ধরিয়ে দেওয়ার মতো। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪,২৮১ জন। তার পরেও পরোয়া নেই। মানুষজন খুল্লামখুল্লা বাজারে ঘুরছেন, মুখে নেই মাস্ক, সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। রবিবার কলকাতার মনিকতলা, কাদাপাড়া, মুচিপাড়ার মতো বাজারে ধরা পড়ল সেই ছবি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিচ্ছে করোনা, বিনামূল্যের টিকাকরণ কর্মসূচি চলবে দেশে'


রবিবার একটু ভালো করে খাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে বাজারের থলি হাতে বেরিয়ে পড়েছেন মানুষজন। কাদাপাড়া বাজারে দেখা গেল বহু ক্রেতার হাতে বাজারের থলি থাকলেও মুখে নেই মাস্ক। বিক্রেতাও মাস্কের ধার ধারছেন না।  কেউ কেউ মাস্ক পরে আসলেও তার রয়েছে থুথনিতে কিংবা ঝুলছে কানের সঙ্গে। কারও কোনও বিকার নেই।


মানিকতলা(Maniktala) বাজারেও একই চিত্র। করোনার ভয়ঙ্কর দ্বিতীয় ঢেউয়ের কোনও প্রভাব এখানে খুবই কম। বিক্রেতাদের অনেকেই মাস্ক পরলেও ক্রেতাদের অনেকেই মুখে মাস্ক নেই। গতকাল শহরের রাস্তায় ব্যাপক অভিযান চালায় পুলিস। ধরপাকড় তো বটেই, মাস্ক না পরার জন্য মোটা টাকার জরিমানাও করা হয়েছে। বাজারে যারা আসছেন তারাও ক্রেতা বা বিক্রেতাদের মাস্ক না পরার জন্য ক্ষুব্ধ। মানিকতলায় এক এক ক্রেতা বললেন, কী বলব বলুন। মাস্ক না পরেই বাজারে চলে এসেছে।  কাউকে তো কিছু বলা যায় না! কেউ কোনও কথা শুনছে না। 


এদিকে শহরের বিভিন্ন বাজারের মাইকিং করে মানুষজনকে সাবধান করা বা পুলিসি নজরদারি(Kolkata Police) থাকলেও সকালে কাদাপাড়া বাজারে তার দেখা পাওয়া যায়নি। তবে এক ব্যবসায়ীর দাবি সাড়ে আটটা নাগাদ পুলিস এসে ছবি তুলে নিয়ে যায়। ধরপাকড়ও হয়।


আরও পড়ুন-করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহের 


মাস্কের দড়ি কানে লাগানো রয়েছে অথচ তা মুখ ঢাকছে না। এনিয়ে প্রশ্ন করতেলই মানিকতল বাজারে এক প্রবীণ জানালেন, এইতো মাস্ক রয়েছে। ঢিলে হয়ে যায় তো! নেমে গিয়েছে। এই নিন পরে নিলাম। 


মানিকতলায় এক বিক্রেতাকে দেখা গেল থলিতে সবজি ভরছেন। তাঁর গলায় রুমাল বাঁধা। নাক থেকে তা অনেক আগেই নেমে গিয়েছে। প্রশ্ন করতেই যুক্তি দিলেন, এই হিসেব করছিলাম একটা তাই নেমে গিয়েছে। আসলে তিনি হিসেব নয়, অন্য কাজ করছিলেন। এরকমই চিত্র সব জায়গায়।