নিজস্ব প্রতিবেদন : লন্ডন থেকে ফেরার পর থেকে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ করেছেন করোনায় আক্রান্ত ওই তরুণ। শোনেননি চিকিৎসকদের কোনও পরামর্শ। এত সতর্কতার পরেও কীভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ করলেন ওই যুবক? মা সরকারি আমলা হওয়াতেই কি প্রভাব খাটান? অভিযোগ, ওই তরুণ কলকাতায় ফেরার পর বেলেঘাটা আইডি-তে না গিয়ে সোজা বাড়ি চলে যান। এমনকি বাড়ির লোকও পরামর্শ শোনেননি বলে অভিযোগ। আমলা স্তরেই এভাবে সচেতনাতার অভাব কেন? উঠছে প্রশ্ন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, নোভেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত ১৮ বছরের ওই তরুণ মায়ের প্রভাব খাটিয়ে ১৬ তারিখ এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে গিয়েছিলেন। হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের ঘরে তাঁকে বসানো হয়। সেখানে এক চিকিৎসক ও দুই স্বাস্থ্যকর্মীকে ডেকে পাঠানো হয়। ওই চিকিৎসক ডেপুটি সুপারের ঘরে এসে পরীক্ষা করে দেখেন তরুণকে। সঙ্গে সঙ্গেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে গিয়ে দেখানো ও ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু অভিযোগ, ওই তরুণ তখন বাড়ি ফিরে চলে যান। 


বিষয়টি জানানোর পর বেলেঘাটা আইডির তরফেও স্বাস্থ্য ভবন মারফত যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই তরুণ নিজে বা তাঁকে নিয়ে তাঁর পরিবার বেলেঘাটা আইডিতে দেখাতে আসেননি বা ভর্তি করেননি বলে অভিযোগ। শেষে ১৭ তারিখ, মঙ্গলবার সকালে ওই তরুণ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে আসেন। ভর্তি হন। তারপরই নমুনা পরীক্ষার পর দেখা যায় ওই তরুণ নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ওই তরুণই কলকাতায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী। মা সরকারি আমলা হওয়াতেই ওই তরুণ প্রভাব খাটিয়ে পরামর্শ এড়িয়ে যান কি না, ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।


আরও পড়ুন, আমলার ছেলে করোনায় আক্রান্ত, সিল করা হল ঘর, নবান্নকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু


এদিকে জানা গিয়েছে, ওই আমলা নবান্নের পাশাপাশি এই সময়কালের মধ্যে রাইটার্সেও বৈঠক করেন। রাইটার্সের ৫ নম্বর ব্লকে ৩ তলায় ওই আমলার অফিস রয়েছে। সোমবার দিনে সেখানে ওই জয়েন্ট সেক্রেটারি অফিস করেন, সবার সঙ্গে দেখা-মেলামেশা করেন বলেও জানিয়েছেন রাইটার্সের কর্মীরা। আতঙ্ক ছড়িয়েছে নবান্নতেও। নবান্নের ষষ্ঠ তলায় ওই আমলার ঘর আজই সিল করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে সরকারি স্তরের একজন আমলা ও তাঁর পরিবারের সচেতনতা হাল বেআব্রু হয়ে পড়ার পর আতঙ্ক আরও ছড়িয়েছে।