নিজস্ব প্রতিবেদন : কাঞ্চনজঙ্ঘাটা আর দেখা হল না। মন ভারী করে দেশে ফেরত যাচ্ছেন বাংলাদেশের নাজমা। চিটাগাং থেকে দার্জিলিং ঘোরার পরিকল্পনা নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন। কিন্তু করোনা আতঙ্কে সব সাধই ভেস্তে গিয়েছে। হতাশ নাজমার এখন একটাই কথা, "আবার আসব। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখব‌ই।" করোনা আতঙ্কে জবুথবু দেশ। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ঘরবন্দি থাকার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। করোনা আতঙ্কে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে দেশের সমস্ত ক্রীড়াসূচি। সোমবার থেকে বন্ধ থাকছে রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজও। পাশাপাশি, করোনার হানার ব‍্যাপক প্রভাব পড়েছে পর্যটন শিল্পেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতা শহরের সদর স্ট্রিট পাড়াটা একটু অন্যরকম। এখানে পাঁচ মিনিট দাঁড়ালে মনে হবে যেন বিদেশেই আছেন। ভিনদেশি পর্যটকের ভিড়ে ঠাসা কলকাতার সেই সদর স্ট্রিটই খাঁ খাঁ করছে করোনা আতঙ্কে। পর্যটকরা হোটেল বুকিং ক্যানসেল করে ফিরে যাচ্ছেন একে একে। করোনা আতঙ্কের জেরে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে হোটেল ও পর্যটন শিল্প।


করোনার আতঙ্কে নিঝুমপুরী শহরের বিদেশি পাড়া সদর স্ট্রিট। বেশিরভাগ হোটেলই ফাঁকা। যে সমস্ত হোটেল বুকিং ছিল তাও হুহু করে বাতিল হচ্ছে। ভিনদেশ থেকে আসা বহু পর্যটকই বেড়ানোয় কাটছাঁট করে ফিরে যাচ্ছেন বিদেশে। খাঁ খাঁ করছে হোটেল। বিদেশি পাড়ায় বিদেশিদের সংখ্যা অনেকটাই কম।  জনবহুল নিউমার্কেট চত্বরও মাছি তাড়াচ্ছে। হতাশ ট্যাক্সি চালকরাও।


 আরও পড়ুন,করোনার কোপ, সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধের নির্দেশ


আরও পড়ুন,রাজারহাটে তৈরি হচ্ছে ২টি সেন্টার, জেলায় জেলায় আইসোলেশন ওয়ার্ড : মুখ্যমন্ত্রী


সদর স্ট্রিটেই বহু পুরনো হোটেল সঞ্জয়ের। তিনি বললেন, গত কয়েকদিনে একের পর এক বুকিং বাতিল হয়েছে। লোকসানের মুখে পড়েছে ব্যবসা। এই ছবি শুধু সদর স্ট্রিটেরই নয়। রাজ্য জুড়েই বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনায় ভাটা পড়েছে করোনা আতঙ্কে। আগামি কয়েক মাস পর্যটনের সঙ্গে যুক্তদের লোকসানের বোঝা বইতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন ইন্ডিয়ান ট্যুর অপারেটার্স ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।