সৌমেন ভট্টাচার্য্য: করোনা আবহে এক অমানবিক ছবির সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা। শেষমেশ Zee 24 ঘন্টার খবরের জেরে আশ্রয় পেলেন নয় মাসের অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে শহরে আসা মুর্শিদাবাদের দম্পতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেশ তথা রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমত অবস্থায় গোটা দেশে লকডাউন জারি। প্রত্যেক দেশবাসী সোশ্যাল ডিস্টেন্স মেনে চলেছে। এই সময় শহর কলকাতায় পা রাখেন পেশায় রাজমিস্ত্রি মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের বাসিন্দা সস্ত্রীক সুখদেব। জ্বরে ভোগা  নয় মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে শহরে এসেছিলেন। কিন্তু শিশুকে সুস্থ করে তোলা তো দূর, জ্বরে কাতর শিশুকে নিয়ে ফুটপাতে শুতে হল ওই দম্পতিকে। 


সেই খবর zee 24 ঘন্টার প্রতিনিধি তুলে ধরতেই নড়েচড়ে বসল পুলিশ প্রশাসন। মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থেকে ২০ তারিখ অসুস্থ শিশুকে নিয়ে কলকাতায় আসেন সুখদেব। প্রথমে মেডিকেল কলেজে গেলে করোনার জন্য কোন চিকিৎসাই হয়নি সেখানে। এরপর আর জি কর হাসপাতালে যান সুখদেব। করোনার কারণে অসুস্থ শিশুকে ভর্তি না নিয়ে সামান্য ওষুধ দিয়েই ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তাঁর। 


আরও পড়ুন- করোনা মোকাবিলায় মমতার তত্পরতায় খুশি রাজ্যপাল, বার্তা দিলেন, রাজনৈতিক উর্ধ্বে গিয়ে লড়াইয়ের


আর জি কর থেকে বলা হয় বাড়ি ফিরে যেতে। কিন্তু শিশুর শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ফের তাঁরা মেডিকেল কলেজে আসেন। ইতিমধ্যে মেডিকেল কলেজকে রূপান্তরিত হয়েছে করোনা হাসপাতালে। তার জেরে সেখানে প্রবেশেই করতে পারেনি তাঁরা। এরপর বাড়ির উদ্দেশে রওনা হওয়ার জন্য ধর্মতলায় পৌঁছন। কিন্তু বাড়ি যাওয়ার কোন ব্যবস্থা না দেখে নিউমার্কেট থানার দ্বারস্থ হন সুখদেব। জানার চেষ্টা করে কিভাবে বাড়ি পৌঁছানো যাবে।


অভিযোগ, নিউমার্কেট থানার পুলিস কোনও রকম সহায়তাই করেনি। এরপর অসহায় দম্পতি তাঁদের জ্বরে কাতর সন্তানকে নিয়ে ধর্মতলা মোড়ে জনৈক কে সি দাসের মিষ্টির দোকানের সামনে ফুটপাতে বসে পড়েন। অভিযোগ, ঢিল ছোড়া দূরত্বে পুলিস বুথ থাকলেও কোন পুলিস কর্মী বা আধিকারিক সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। 


অবশেষে জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি 100 নম্বর এ call করে যোগাযোগ করতেই কয়েক মিনিটে পুলিস হাজির হয়। নড়েচড়ে বসে পুলিস প্রশাসন। কিছুক্ষণের মধ্যেই  অসুস্থ সন্তান-সহ ওই দম্পতিকে অন্যত্র নিয়ে আশ্রয় দেয় পুলিস। অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়।