নিজস্ব প্রতিবেদন: ভ্রূণেরও কি বাঁচার অধিকার নেই? ভ্রূণের জীবন-মরণ কী শুধু মায়ের সিদ্ধান্তের উপরেই নির্ভর করে আছে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার এই প্রশ্নেরই উত্তর খুজবে কলকাতা হাইকোর্ট।


 তখন তিনি ২১ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। হঠাত্ হাতে আসে একটা মেডিক্যাল রিপোর্ট। কলকাতার দম্পতি জানতে পারেন... গর্ভস্থ ভ্রূণ ঘোর অসুস্থ। তার মস্তিষ্ক স্বাভাবিক নিয়মে তৈরি হচ্ছে না..। এক রিপোর্টেই চুরমার হয়ে যায় সব স্বপ্ন।


বিক্ষোভের জেরে কলকাতায় বন্ধ হল 'দ্যা অ্যাকসিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার'-এর শো


তার পর  বাড়িশুদ্ধ লোকের ঘুম ছুটেছে। দিন-রাত এক করে ডাক্তারের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। হাজার হোক.. সন্তান তো। কী করবেন? শেষমেশ সেই সন্তানের কথা ভেবেই জীবনের কঠিনতম সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। আইন মেনে গর্ভপাত করাতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।


ভারতীয় গর্ভপাত আইন বলছে, ভ্রূণের বয়স ২০ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে গর্ভপাত করানো যায় না। তবে আদালতের অনুমতি পেলে ২০ সপ্তাহের পরে বিশেষ মেডিক্যাল টিমের নজরদারিতে গর্ভপাত আইনসিদ্ধ।


এদিন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে এই মামলা ওঠে। সরকারি আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন...


সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা বাঁচার অধিকারের কথা বলছে। ভ্রূণের কি সেই অধিকার নেই?


সরকারি আইনজীবী  বলেন, “এমন আর্জি কলকাতা হাইকোর্টে প্রথম নয়।” আগেও এমনই আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক দম্পতি, এমনই আর্জি জানান জেলার এক দম্পতি।


পুরোনো মামলায় দেখা যায়,  গর্ভস্থ ভ্রূণের হদপিণ্ডে কিছু সমস্যা ছিল, বাবা-মা চেয়েছিলেন গর্ভপাতে সম্মতি দিক কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট অবশ্য সে বার গর্ভপাতের আর্জি খারিজ করে দেয়। শেষমেশ গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে  দম্পতি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। ২৮ সপ্তাহের মাথায় ঐতিহাসিক রায়ে গর্ভপাতের সম্মতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট।


আরও পড়ুন, বিপাকে পর্দার মনমোহন সিং, অনুপম খেরের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর


কলকাতা হাইকোর্টের সামনে আবার সেই প্রশ্ন ফিরে এসেছে। আবেদনকারী মহিলার স্বামীকে এদিন আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সন্তানকে আজীবন অসুস্থতার হাত থেকে মুক্তি দিতে চাই, বলছেন আবেদনকারী।