মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যেই বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত সপ্তাহেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর বৈঠকে করেছে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবগুলির সঙ্গে। তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ডেঙ্গি চিকিত্সার খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তবে উদ্বেগের বিষয় হল এর মধ্যেই নীরবে বাড়ছে করোনা পজিটিভিটি রেট। সামনেই পুজো। তাই এনিয়ে আগেভাগেই সতর্ক হতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। রাজ্যে সরকারের পরিসংখ্য়ান বলছে, মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে কোভিড পজিটিভিটি রেট লাফিয়ে হয়েছে দ্বিগুণ। পাশাপাশি বেড়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও। বিশেষজ্ঞদের অভিমত,পুজোর বাজারে বেলাগাম মেলামেশার ফলেই বাড়ছে পজিটিভিটি রেট। আশঙ্কা না থাকলেও এখনই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বুমরার ফিটনেস থেকে ডেথ ওভারের দুশ্চিন্তা! নাগপুরে ভারতের প্রশ্নপত্র বেশ কঠিন


কীভাবে বেড়েছে করোনা পজিটিভিটি রেট? রাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, গত ১ সেপ্টেম্বর রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২১০। পজিটিভিটি রেট ছিল ২.২৯ শতাংশ। এক সপ্তাহ পরই ৭ সেপ্টেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৩০। পজিটিভিটি রেট বেড়ে হয় ২.৬১ শতাংশ। পরের সপ্তাহে অর্থাত্ ১৪ সেপ্টেম্বর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৭৫। পজিটিভিটি রেট বেড়ে হয় ৩.৪১ শতাংশ। সেপ্টেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহে অর্থাত্ ২১ সেপ্টেম্বর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৬৫। পজিটিভিটি রেট বেড়ে হয়েছে ৪.৬২ শতাংশ। ফলে হিসেবে বলছে গত তিন সপ্তাহে পজিটিভিটি রেট প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।


ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিকিত্সক যোগীরাজ রায় বলেন, এবার ডেঙ্গি রোগীদের মধ্যে প্রবল কাশির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আগে এমটা হতো না। কয়েকজনের অক্সিজেন লেভেল কমেও যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে অনেকেরই হয়তো ফুসফুসে সংক্রমণ ছিল, কারও হয়তো আগে কোভিড হয়েছিল। ডেঙ্গি হলে বেশিরভাগসময় ফ্লুইডি দিতে হয়। অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বেশি প্লুইডি দিয়ে দেওয়া হ্চছে। সেক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।


উল্লেখ্য, এখনওপর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। গতকালও বাঁশদ্রাণীতে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। গতকালের পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৭০১ জন। কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ২২১ জন। রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার। 


ডেঙ্গির এই বাড়বাড়ন্ত কেন


১) দেরিতে ডেঙ্গির পরীক্ষা। 
২) অনেকেই জ্বরের পঞ্চম বা ষষ্ঠ দিনে পরীক্ষা করাচ্ছেন। 
৩) ততদিনে জটিলতা আরও বেড়ে যায়। 
৪) শরীরে তরলের অভাব দেখা দিচ্ছে। 
৫) রক্তের উপাদানের ঘনত্ব বাড়তে শুরু করে।
৬) প্লেটলেট কমতে থাকে।
৭) রক্তনালী ফুটো হয়ে প্লাজমা বেরতে শুরু করে।
৮) শরীরের বিভিন্ন অংশে ফ্লুইড জমতে শুরু করে।


রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ব্লক স্তরের হাসপাতালগুলিকে বলা হয়েছে জ্বর থাকলে যেন ডেঙ্গি পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়। সরকারি ল্যাবে বিনা পয়সায় ডেঙ্গি টেস্ট করা যাবে। জ্বর থাকলেই মোট তিনটি টেস্ট করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সেগুলি হল, ডেঙ্গি, কোভিড ও ম্যালেরিয়া। ডেঙ্গি পজিটিভ হলে আরও যে দুটি টেস্ট করতে হয় তাও করা যাবে সরকারি ল্যাবে বিনামূল্যে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)